ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ঢাকা প্রতিনিধি,১১ এপ্রিল : যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদের কারণে ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির গায়ে আগুন দিয়ে হত্যার ঘটনায় তদন্তে গাফিলতি হলে হস্তক্ষেপ করবেন হাইকোর্ট।আদালত বলেছেন, নুসরাতের মামলায় তদন্তে গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে আমরা ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করব।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন নুসরাতের মারা ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন।ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন আদালতকে বলেন, নুসরাতের মারা যাওয়ার ঘটনাটি মর্মান্তিক ও সেনসিটিভ। নুসরাত মারা যাওয়ায় সারাদেশের মানুষ ব্যথিত। এ ঘটনার সঙ্গে একজন মাদরাসার অধ্যক্ষ, স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তাই শুধু পুলিশের একজন এসআই দিয়ে এ ঘটনার তদন্ত করলে বিশ্বাসযোগ্য হবে না। আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা দেয়ার আবেদন জানাচ্ছি। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি, কুমিল্লার তনু বা চট্টগ্রামের মিতুর মামলার মতো যেন নুসরাতের মামলাটিও হারিয়ে না যায়।আদালত বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই এ ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছেন। ইতোমধ্যে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আপনারা আস্থা রাখুন। তদন্তে গাফিলতি দেখলে আপনারা আদালতে আসবেন, তখন আমরা ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করব।গতকাল (বুধবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ৫ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নুসরাত।নুসরাত ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন। এ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা নুসরাতকে তার কক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন- এমন অভিযোগে গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার। ছাত্রীর স্বজনদের অভিযোগ, মামলা প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় অধ্যক্ষের পক্ষের লোকজন নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।