ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ঢাকা প্রতিনিধি,১২ মার্চ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের মধ্যে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট জিনাত হুদাকে লাঞ্ছিত করা ও ভাঙচুরের অভিযোগে ভিপি পদে বিজয়ী কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নেতা নুরুল হক নুর, বাম জোটের ভিপি প্রার্থী ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে শাহবাগ থানায়। অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০-৪০ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, রোকেয়া হলের একজন ছাত্রী গত রাতে থানায় এসে মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলায় নুর ও লিটন ছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ঢাবির জহুরুল হক হল ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আনিসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সভাপতি উম্মে হাবীবা বেনজীর এবং রোকেয়া হল সংসদে স্বতন্ত্র সহসভাপতি প্রার্থী শেখ মৌসুমীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।মামলার এজাহারে বলা হয়, সোমবার সকাল ১১টা ২০ মিনিটের দিকে মামলার বাদী মারজুকা রায়না রোকেয়া হলে ভোটের লাইনে দাঁড়ান। এর মধ্যে হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বানচাল করার চেষ্টা চালান অভিযুক্তরা। তারা গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে দেন যে, ট্রাকভর্তি সিল মারা ব্যালট পেপার হলের ভেতরে রয়েছে। পাশাপাশি তারা শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে উসকে দেন।এ পর্যায়ে হল প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, বাস্তবে তেমন কিছুই ঘটেনি। সংরক্ষিত ব্যালট পেপারগুলো সাদা। কিন্তু অভিযুক্তরা প্রভোস্টের কথা না শুনে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং শিক্ষার্থীদের গালাগাল করেন। এ সময় তারা রোকেয়া হল সংসদের দরজা-জানালা লাথি মেরে ভেঙে ফেলার চেষ্টা চালান। পরে তারা সংসদের ভেতর অনধিকার প্রবেশ করে একটি ট্রাঙ্ক বের করে আনেন। সেটি খুলে দেখা যায়, সব ব্যালট পেপারই সাদা। কোনোটিতে সিল মারা নেই।