মিয়ানমারে রয়টার্সের ২ সাংবাদিকের রায় পেছাল

SHARE

image-11736-1535348927 (1)ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,২৭ আগস্ট :  রোহিঙ্গা গণহত্যার তথ্য সংগ্রহের সময় মিয়ানমারে গ্রেফতার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা পেছাল।আজ সোমবার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারিত থাকলেও তা স্থগিত করে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর। মামলার বিচারক অসুস্থ থাকায় সোমবার রায় ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত।

ইয়াংগনের জেলা জজ আদালত গত ৯ জুলাই সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) ও কিয়াও সো ওর (২৮) বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে তাদের বিচার শুরু করে।   রয়টার্সের দুই সাংবাদিক সেদিন আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বলেন, সংবাদিকতার সব নিয়মই তারা অনুসরণ করেছেন।ঔপনিবেশিক আমলের ওই আইনে দোষী সাব্যস্ত করা হলে তাদের ১৪ বছর পর্যন্ত কারাগারে কাটাতে হতে পারে।রয়টার্স লিখেছে, পশ্চিমা কূটনীতিবিদের কেউ কেউ এবং কোনো কোনো অধিকার সংগঠন এই বিচারকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়ায় থাকা মিয়ানমারের জন্য একটি পরীক্ষা হিসেবে দেখছেন। রায় ঘোষণার কথা থাকায় বিপুলসংখ্যক সাংবাদিক ও বিদেশি কূটনীতিক সোমবার ইয়াংগনের আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে মামলা বিচারের দায়িত্বে থাকা বিচারক ইয়ে লইনের বদলে কিন মং মং নামের আরেকজন বিচারক এসে রায়ের তারিখেএক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার কথা জানান।   দুই সাংবাদিকের আইনজীবী কিন মং জ সাংবাদিকদের বলেন, এ মামলার রায় ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়ে গেছে বলে বিচারক কিন মং মং জানিয়েছেন। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারকই ওই রায় ঘোষণা করবেন।রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাংবাদিক ওয়া লোনকে যখন সকালে আদালতে নেওয়া হচ্ছিল, তার মুখে ছিল হাসি, আঙুল তুলে তিনি ‘থাম্বস আপ’ চিহ্নও দেখান। এ সময় তার পিছনেই ছিলেন কিয়াও সো। রায়ের তারিখ পিছিয়ে যাওয়ার পর আদালত থেকে বের হওয়ার সময় ওয়া লোন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ভীত নই, কুণ্ঠিতও নই। সত্য আমাদের পক্ষে। যই ঘটুক না কেন, আমরা ভেঙে পড়ব না। ওরা আমাদের দুর্বল করতে পারবে না।’২০১৬ সালে রয়টার্সে যোগ দেওয়া সাংবাদিক ওয়া লোন রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন ঘটনার সংবাদ প্রকাশ করেছেন। আর কিয়াও সো ও গতবছর সেপ্টেম্বর থেকে রয়টার্সের প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।ইয়াঙ্গনে পুলিশ কর্মকর্তাদের এক ডিনারের আমন্ত্রণে যাওয়ার পর গত ১২ ডিসেম্বর তাদের গ্রেফতার করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাখাইনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গোপন নথিপত্র ছিল তাদের কাছে।