আগামী ২৪ ডিসেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে বুধবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জাতীয় পর্যায়ে কর্মসূচি প্রণয়ন এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী প্রদান করবেন। এ উপলক্ষে সরকারি, আধা-সরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
জাতীয় পতাকা ও ‘কালিমা তায়্যিবা’ লিখিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোস্টে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) দিবাগত রাত্রিতে সরকারি ভবনসমূহ ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ আলোক সজ্জা করা হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে এবং পক্ষকালব্যাপী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর জীবনীর উপর আলোচনা সভা ও মাহফিলসহ বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
এ ছাড়াও সভায় সারাদেশে বিভাগ/জেলা/উপজেলা/সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা/সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ/বেসরকারি সংস্থাসমূহে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানের কর্মসূচি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার কর্তৃক দিবসটির যথাযোগ্য গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে। শিশু একাডেমি কর্তৃক শিশুদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে দেশের সকল হাসপাতাল/কারাগার/সরকারি শিশু সদন/বৃদ্ধ নিবাস/মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হবে।
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনসমূহে যথাযথভাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করবে। এ উপলক্ষে সারাদেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. চৌধুরী মো. বাবুল হাসানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।