মাধ্যমিক শিক্ষায় ৫১ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

SHARE

image-10617-1534171292ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,ঢাকা প্রতিনিধি,১৩ আগস্ট :  দেশে মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে ৫১ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এছাড়াও গ্লোবাল ফাইনান্সিং ফ্যাসিলিটি (জিএফএফ) অনুদান হিসেবে আরও ১ কোটি মার্কিন ডলার অনুদান সহায়তা দিচ্ছে ব্যাংকটি। বাংলাদেশের স্থানীয় মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ (প্রতি ডলার ৮০ টাকা হিসেবে) চার হাজার ১৬০ কোটি টাকা।

আজ সোমবার ( ১৩ আগস্ট)  বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে একটি ঋণ ও অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় মাধ্যমিক শ্রেণীর (ষষ্ট থেকে দ্বাদশ ) ১ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী উপকৃত হবে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম। অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন, বিশ্বব্যাংকের নেপাল ভুটান ও বাংলাদেশ ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজশ্রী পারালকার। এই চুক্তির বিশেষ দিক হলো, এই ঋণ সুদমুক্ত হবে। ঋণের পরিশোধের মেয়াদকাল হবে ৩৮ বছর। এই ঋণে কোন সুদ নেয়া না হলে দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ নেওয়া হবে। ২০২২ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

বিশ্বব্যাংক সূত্র জানা গেছে, এই চুক্তির আওতায় ষষ্ট থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ১ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষার মান উন্নয়ন, বিশেষ করে দরিদ্র- অতিদরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

একই সঙ্গে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ষষ্ট থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মেয়েদের স্বাস্থ্য সেবার বিষয়েও শিক্ষা দেওয়া হবে। এছাড়াও মেয়েদের জন্য পৃথক টয়লেট নিমার্ণসহ বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। এই অর্থ দিয়ে সারাদেশের ৫ লাখ শিক্ষক ও অধ্যক্ষদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। একইসঙ্গে দেশে ষষ্ট, অষ্টম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়ার কারণ এবং তার প্রতিকার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

চুৃক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মাধ্যমিক শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধি পাবে। মানব সম্পদ উন্নয়নে প্রকল্পটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, মানব সম্পদ উন্নয়নে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে অনেক দুর এগিয়েছে। এমনকি ইউএনডিপির হিসাব অনুযায়ী ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে।

বিশ্বব্যাংককান্ট্রি ডিরেক্টর রাজশ্রী পারালকার বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অংশীদার হতে পেরে আমরা গর্বিত। বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে মানব সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।