ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,ঢাকা প্রতিনিধি,১১ আগস্ট : বাংলাদেশে শনিবার ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিবারের মত এবারও লক্ষ্য করা যায় রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা।
পথচারীদের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত কয়েকজন স্কাউট মনে করেন যে শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষ আগের চেয়ে ট্রাফিক আইন মানতে বেশী অনুপ্রাণিত হচ্ছে। তবে এবিষয়ে স্কাউটদের অধিকাংশেরই মত ছিল ভিন্ন। তারা বলছেন সাধারণ মানুষের মধ্যে ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা প্রবল। পথচারীদের আইন না মানার প্রধান কারণ সময় বাঁচানোর চেষ্টা এবং অলসতা বলে মন্তব্য করেন স্কাউটরা।
মমিনুর নামের একজন স্কাউট বলেন, ‘নিয়ম মেনে একটু বেশী হেঁটে গিয়ে কিছুটা বেশী দূরত্ব অতিক্রম করতে রাজী হন না অধিকাংশ পথচারীই।’ যারা ট্রাফিক আইন ভাঙে তাদের অনুসরণ করার প্রবণতা মানুষের মধ্যে থাকলেও নিয়ম মেনে চলা মানুষদের খুব কম সংখ্যক লোকই অনুসরণ করে বলে মন্তব্য করেন মমিনুর।
নিরাপদ সড়কের দাবীতে শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক আন্দোলন মানুষের মধ্যে কিছুটা সচেতনতা তৈরী করলেও সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন স্কাউটদের অধিকাংশই।
সুহার্তো নামের একজন রোভার বলেন, ‘আজ সারাদিন যতজনকে ফুট ওভারব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার হতে অনুরোধ করেছি বা নির্দিষ্ট জায়গায় বাসের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছি, তাদের বেশীরভাগই আমাদের কথা শোনেনি।’ আরেকজন রোভার জানান, শাস্তির ভয় দেখানোর আগ পর্যন্ত প্রায় কেউই আইনের পরোয়া করেন না।
সবচেয়ে বেশী হতাশা ছিল থিওটোনিয়াস নামের একজন রোভারের কন্ঠে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে আছি, মানুষজনকে অনুরোধ করছি বলে মানুষ তাও কিছুটা আইন মানছে। দুই মিনিট আমরা না থাকলে দেখেন কি অবস্থা হয়। আবার আগের মত অবস্থা হবে।’
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সহায়তা করতে রাস্তায় নামা কিশোর স্কাউটদের মতে, সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাধারণ মানুষের নিজেদের মধ্যে সচেতনতা তৈরীর বিকল্প নেই।
সূত্র: বিবিসি