ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,ঢাকা প্রতিনিধি,০৬ আগস্ট : সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজার বিধান রেখে বহুল আলোচিত ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান।
বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ফলে দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানির জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড রেখে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তবে যদি হত্যার উদ্দেশ্যে কেউ গাড়ি চালায় এবং সেটা প্রমাণিত হয়, তাহলে তা ফৌজদারি আইনের দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা অনুসারে বিচার হবে। সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনের সাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে দুর্ঘটনার প্রকৃতি কী ছিল।
সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া তৈরি করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। গত বছর মার্চ মাসে এই আইনের খসড়াটি নীতিগত অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। এরপর তা যাচাই-বাছাই করে মতামত দেওয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। দীর্ঘদিন যাচাই-বাছাই শেষে গত বৃহস্পতিবার এ আইনের খসড়ায় মতামত দিয়ে তা ফেরত পাঠানো হয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে। ওই দিনই আইনমন্ত্রী ও সেতুমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের কথা জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ছাড়া আহত হয় বেশ কয়েকজন। নিহত শিক্ষার্থীরা হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে এরই মধ্যে ২০ লাখ টাকার অনুদান দিয়েছেন। নৌমন্ত্রী শাজাহান খানও নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন।