ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,২৪ জুলাই : কয়লা দুর্নীতির ঘটনায় বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির এমডি, জিএমসহ ৪ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এবিষয়ে ইমিগ্রেশনে দুদকের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
কয়লা সংকটে রবিবার (২২ জুলাই) রাত ১০টা ৫ মিনিটের দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবগুলো ইউনিট বন্ধ করা হয় বলে জানান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান। কয়লা সঙ্কটের জন্য খনি কর্তৃপক্ষের দুর্নীতিকে দুষছেন সংশ্লিষ্টরা। এক লাখ ৪০ হাজার টন কয়লা উধাওয়ের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির এমডিসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে পেট্রোবাংলা।
দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে গত ১৬ জুন ২৭৫ মেগাওয়াটের ইউনিটটি বন্ধ করে দেয়া হয়। কয়লা সঙ্কটে, ঝুঁকিতে পড়ে ২৫০ মেগাওয়াটের বাকি দু’টি ইউনিট। এ কেন্দ্র দুটির উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে গত বছরে অক্টোবরে খনি কর্তৃপক্ষকে প্রতিদিন ৫ হাজার ২শ’ মেট্রিক টন কয়লা সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলা হয়। গত বুধবার খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, ইয়ার্ডে কয়লা মজুদ না থাকায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে বাধ্য হয়েই রোববার রাত ১০টা ২ মিনিটে, ২৫০ মেগাওয়াটের বাকি দুটি ইউনিটও বন্ধ করে দেয়া হয়।
কয়লা খনির শ্রমিকরা জানান, কয়লা বাইরে বিক্রি করার কারণে আজ কয়লা সংকট দেখা দিয়েছে। আর যদি এই তাপ বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এখানকার ২০০-৩০০ শ্রমিকের কি অবস্থা-হবে।
এলাকাবাসী জানান, তারা (কর্মকর্তারা) দেশের সাংবাদিক, গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে ডেকে বলেছেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর জন্য তিনমাসের মতো কয়লা মজুদ রয়েছে। সেই সঙ্গে আমরা রেগুলার উৎপাদন করছি। কিন্তু আজকে এক মাস না যেতে মজুদ কয়লা গেল কোথায়?
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ইয়ার্ডে ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ থাকার কথা। কিন্তু এখন রয়েছে মাত্র ৫ হাজার মেট্রিক টন।