কারো শর্ত মেনে নির্বাচন হবে না : ওবায়দুল কাদের

SHARE

image-8441-1532244246ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,ঢাকা প্রতিনিধি,২২ জুলাই :  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কারো বা কোনো দলের দেয়া শর্ত মেনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী।বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ চারটি শর্ত পূরণ হলে আগামী নির্বাচন হতে পারে- বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবী ড. এমাজ উদ্দীন আহমদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের আজ রবিবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপিকে কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে দলের নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সভা-সমাবেশ করছে, আগামীতেও রাজনৈতিক দলগুলো সভা-সমাবেশ করবে, এ ব্যাপারে কেউ অনুমতি চাইলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।আগামী অক্টোবর মাসে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, অক্টোবরের যে কোনো সময়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হবে। সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো নিয়েই ছোট আকারে মন্ত্রিসভা গঠন হবে। অন্য কাউকে রাখার কোনো সুযোগ নেই।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এতদিন বলেছে, (কারাবন্দি) খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচনে যাবে না, এখন এক কাঠি বাড়িয়ে বলছে, নির্বাচন তারা প্রতিহত করবে। এতে আমরা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র এবং নাশকতার আশঙ্কা করছি। তবে আমরা জনগণকে নিয়ে এটা প্রতিহত করবো।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনের জন্য যে শর্ত দিয়েছে, কোনো শর্ত দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। সাংবিধানিকভাবে নিয়মকানুন মেনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনেও বিএনপি আসবে কি, আসবে না সেইটা আমাদের দেখার বিষয় না।তিনি বলেন, নির্বাচনে বিএনপি আসবে। সেটা তো তাদেরই প্রয়োজনে আসতে হবে না। নির্বাচন তো সরকারের অনুদান নয়। নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা তাদের অধিকার। তারা না আসলে কী গণতন্ত্র থেমে থাকবে? অবশ্যই না।কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের বাড়াবাড়ির অভিযোগ পাওয়া গেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের নামে কিছু বাড়াবাড়ির অভিযোগ আমরা পেয়েছি। গতকাল (শনিবার) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভা শেষে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা পরিষ্কারভাবে আমার সামনে ছাত্রলীগের নেতাদের বলেছেন, ছাত্রলীগের নামে যেন কোনো বাড়াবাড়ির অভিযোগ তিনি না পান। পরিষ্কারভাবে তাদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই ওবায়দুল কাদের শনিবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।তিনি বলেন, ইতিহাসে এই প্রথম এত বড় একটি অনুষ্ঠানে একজনই বক্তা ছিলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী। আমি শুধু মানপত্রটা পাঠ করেছি। এই শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় যে, আওয়ামী লীগ সংগঠিত, সুশৃঙ্খল, স্মার্ট এবং মডার্ন।মন্ত্রী বলেন, জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি শনিবারই করা হয়েছে। মিছিলের পাশে পরিবহন চলতে পারে কি না সেদিকে নজর ছিল আমাদের কড়া। তবে তার পরও দু’একটি ঘটনা ঘটে থাকলে সে জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।খবর বাসস