জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যপদ ত্যাগ করল যুক্তরাষ্ট্র

SHARE

resize-429x241x0x0image-5258-1529473114ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,২০ জুন : জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিলো যুক্তরাষ্ট্র।

গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন প্রতিনিধি নিকি হেলে এবং সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে ‘কপট ও স্বার্থপর’ উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তাদের ভাষায় জেনেভা ভিত্তিক ৪৭ সদসস্যের কাউন্সিল ইসরাইল বিরোধী এবং এটির সংস্কার সম্ভব নয় বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে অধিকার কর্মীরা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের অগ্রসর বাধাগ্রস্ত করবে। খবর রয়টার্সের।

কাউন্সিলকে সংস্কার করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা ব্যাহত করার জন্য রাশিয়া, চীন, কিউবা ও মিশরের সমালোচনাও করেন মার্কিন এই কূটনীতিক। একইসঙ্গে যেসব দেশের যুক্তরাষ্ট্রের সমমনা মূল্যবোধ রয়েছে এবং ওয়াশিংটনকে এ  ব্যাপারে উৎসাহ জুগিয়ে আসছে, অথচ ‘স্থিতাবস্থা চ্যালেঞ্জ করতে অনিচ্ছুক’ তাদেরও সমালোচনা করেছেন হ্যালি।

ভেনেজুয়েলা, চীন, কিউবা ও ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর নাম উল্লেখ করে হ্যালি বলেন, কাউন্সিলের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর দিকে দেখুন। মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি অধিকাংশ দেশেরই ভয় পাওয়ার মতো অসম্মান রয়েছে। যদিও মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র সৌদি আরবের নাম উল্লেখ করেননি। ইয়েমেন যুদ্ধে বেসামরিক ব্যক্তিদের হত্যার দায়ে কাউন্সিলে সৌদি আরবের সদস্যপদ স্থগিত করার দাবি জানিয়ে আসছে অধিকার গ্রুপগুলো।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আন্তর্জাতিক কয়েকটি অঙ্গীকার থেকে বেরিয়ে গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই তালিকায় সবশেষ যুক্ত হলো জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৫ সালের ইরান পরমাণু চুক্তি ও প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের হয়ে যায়।

এদিকে গেলো এপ্রিল থেকে অভিবাসন নীতিতে ট্রাম্প প্রশাসন যখন ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থানের কারণে সমালোচিত হচ্ছে এমন এক সময় এই ঘোষণা দিলো ওয়াশিংটন। হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী ব্যক্তিকে তাদের সন্তানের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার ঘটনায় এমনকি মুখ খুলেছেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। সোচ্চার হয়েছেন সাবেক ফার্স্ট লেডি লরা বুশও।

অন্যদিকে ‘বিবেকবর্জিত’ এই নীতি স্থগিত করতে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান জেইদ রা’দ আল হুসেইন।