ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,ষ্টাফ রিপোর্টার,২১ মে : সোহেলের গ্রামের বাড়ি বরিশালের কোতোয়ালির সাহেবের হাটে। তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক ফ্রান্সের নাগরিক ক্রিস্টোফার বাউচারের গাড়িচালক। বাউচারের স্ত্রী গীতা শ্রীলংকার নাগরিক। মাসে ১৫ হাজার টাকা বেতনে সোহেলের পেশা দিনে গাড়ি চালানো হলেও রাতে কন্ট্রাক্ট কিলার হিসেবে কাজ করত সে। একইভাবে সোহেলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাসেলও পেশায় গাড়িচালক। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের মুলাদির খাসেরহাট। যমুনা ব্যাংকের একটি ব্রাঞ্চের ম্যানেজারের গাড়িচালক ছিল রাসেল। তবে সোহেলের মতো সেও ভাড়াটে খুনি।
সর্বশেষ গত ৯ মে রাতে ডিশ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাড্ডায় গুলি করে হত্যা করা হয় আবদুর রাজ্জাক বাবু ওরফে ‘ডিশ বাবুকে’। এ হত্যাকাণ্ড ছাড়াও বাড্ডায় আরও দুটি খুনে ভাড়াটে কিলার হিসেবে কাজ করে সোহেল-রাসেল। এ ছাড়া চাঁদার দাবিতে ফেব্রুয়ারিতে তারা ধানমণ্ডির ২৭ নম্বরে এক ব্যবসায়ীর বাসার সামনে গুলি করে। আর বাড্ডা এলাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিপক্ষকে গুলি করা তাদের প্রায় নিয়মিত কাজ ছিল। আদালতে দেওয়া সোহেল-রাসেলের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য উঠে আসে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ডিশ বাবু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল সাফায়েত হোসেন তামরিন ওরফে রানা ওরফে তানভীর ওরফে রনি, সোহেল ও রাসেল। এরই মধ্যে তানভীর ডিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ডিশ বাবু হত্যার পরপরই হাতেনাতে গ্রেফতার সোহেল ও রাসেলকে রিমান্ডে নিয়ে বাবু হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জবানবন্দি দেওয়ার পর বর্তমানে তারা কারাবন্দি।