আজ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ

SHARE

imagesওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,১০ মে : সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ১০ মে বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ১০ মে, দিনগত রাত ২টা ১৫ মিনিটে) ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোর কেপ কেনেডি সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে মহাকাশে উড়বে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে মহাকাশে নিজস্ব স্যাটেলাইট ওড়ানো রাষ্ট্রের তালিকায় নাম উঠবে বাংলাদেশের।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার সকালে অরল্যান্ডোর কেনেডি স্পেস সেন্টারে (নাসার) স্যাটেলাইট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থ্যালেস অ্যালেনিয়ার সঙ্গে স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি রিভিউ বিষয়ক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে স্যাটেলাইটের কারিগরি অবস্থা ও অবস্থান সম্পর্কে বাংলাদেশকে জানানো হয় বলে জানা গেছে।

প্রস্তুতির বিষয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান, স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। উৎক্ষেপণের জন্য স্যাটেলাইট, লঞ্চার ও লঞ্চিং প্যাড রেডি করা হয়েছে।

স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ব্যাপারে তারানা হালিম জানান, ‘১০ মে যুক্তরাষ্ট্র সময় বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ হবে। ৩ মিনিটের মধ্যে ( ১৬২ সেকেন্ড) উৎক্ষেপণ শেষ হবে। এরপর রকেটে করে স্যাটেলাইট মহাকাশের পথে (বাংলাদেশের ভাড়া নেওয়া অরবিটার স্লট ১১৯.৯ ডিগ্রিতে) যাবে।

এ ব্যাপারে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ৩ ক্যাটাগরিতে সেবা দেবে। ব্রডকাস্টিং, টেলিকমিউনিকেশন ও ডাটা কমিউনিকেশন সেবা দিয়ে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে অভূতপূর্ব উন্নতি করবে।’

স্পেস এক্স-এর উৎক্ষেপণযান বা রকেট ফ্যালকন-৯ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে মহাকাশে ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত অরবিট প্লটে স্থাপন করবে। বিশ্বের অন্যতম খ্যাতনামা স্যাটেলাইট নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের থেলেস এলেনিয়া স্পেস স্যাটেলাইটটি নির্মাণ করেছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৯০২ কোটি টাকা। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এক হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা এবং অবশিষ্ট এক হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা বিডার্স ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ব্যয় সংকুলান হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ভূমি থেকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরে প্রাথমিক এবং রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র দ্বিতীয় গ্রাউন্ড স্টেশনের নির্মাণ কাজও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। মহাকাশে উৎক্ষেপণের পর এটি পরিচালনা, সফল ব্যবহার ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ইতিমধ্যে সরকারি মালিকানাধীন বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি গঠন করা হয়েছে।