ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,০৫ মার্চ : আগামী জুন মাসের মধ্যে সারাদেশের সড়ক-মহাসড়কের খানা-খন্দ মেরামত করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি এবং চলমান উন্নয়ন প্রকল্প তুলে ধরতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
নজরুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে মহাসড়কের বর্তমান অবস্থার উন্নতি হবে এবং যার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দৃশ্যমান হবে আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে। এপ্রিলের মধ্যে কত শতাংশ অগ্রগতি হবে? জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমাদের কর্মযজ্ঞ চলছে, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় যেভাবে বলা হচ্ছে যে রাস্তাগুলোর এই অবস্থা, এই অবস্থার একটি উল্লেখযোগ্য অবস্থা দৃশ্যমান হবে। জুনের মধ্যে এসব কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে মনে করি।’
নজরুল ইসলাম বলেন, মৌসুম পরিবর্তনের জন্য কাজের সময় যতটুকু কাজে লাগাতে পারি সেভাবেই কর্মসূচি ঠিক করেছি। সড়ক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যার অধিকাংশ কাজ চলমান। মন্ত্রণালয়ের ২৩টি টিমের মাধ্যমে এ কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে। তবে বড় বড় প্রকল্পগুলো নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী এক থেকে দুই বছর লাগতে পারে।
সচিব বলেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) প্রকল্পের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৬১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমরা রাস্তাঘাট ফোর লেন করা বা উন্নয়নমূলক কাজ করতে চ্যালেঞ্জ এবং হ্যাসেল ফেস করি। ইউটিলিটি শিফটিং, মাটি ভরাট, ভূমি অধিগ্রহণ- এগুলো চ্যালেঞ্জিং বিষয়। এরপরও আমরা মনে করি জুনের মধ্যে এই রাস্তার একটা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখতে পাবেন।
সচিব বলেন, যশোর-খুলনা রাস্তা প্রকল্প আমরা করছি। যেহেতু অনুমোদিত হয়েছে, আমরা স্থায়ীভাবে সমাধান করতে চাচ্ছি। ঠিকাদার নিয়োগ করেছি, যাতে দ্রুত গতিতে কাজ শেষ করা যায়।
যশোর-বেনাপোল সড়কে ৩২৭ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে গাছ কাটার বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তবে রাস্তা মেইনটেন করার টেন্ডার আহ্বান করেছি যাতে ভাঙাচোরা রাস্তা বছর তিনেকের জন্য চলাচলের ব্যবস্থা থাকে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব বলেন, বিগত ৫ বছরে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ধারাবাহিকভাবে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছে। চলতি অর্থবছরের সেই সাফল্যেও ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখা হবে।