প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টিতে হারার পর শেষ টি-টোয়েন্টিতে হার এড়াতে পারেনি পাকিস্তান। শেষ ম্যাচটি পাকিস্তানের জন্য ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশন। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ম্যাচটি গড়িয়েছে সুপার ওভারে।
সুপার ওভারে ইংল্যান্ডের হয়ে বল করেন ক্রিস জর্ডান। পাকিস্তানের হয়ে ব্যাট করতে নামেন শহীদ আফ্রিদী ও উমর আকমল। ছয় বলে মাত্র তিন রান করে পাকিস্তান। শেষ বলে আউট হন আকমল। জয়ের জন্য চার রান করতেই ঘাম ছুটে যায় ইংল্যান্ডের। আফ্রিদীর করার প্রথম চার বলে ইংল্যান্ড করে মাত্র দুই রান। সুপার ওভারেও কি সমতা দেখা যাবে? এমন শংকা যখন চরমে, তখন পঞ্চম বলে দুই রান নিয়ে ইংল্যান্ডকে দারুণ এক জয় উপহার দেন ইংলিশ দলপতি মরগ্যান।
সুপার ওভারে জিতে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ঘরে তুলেছে ইংল্যান্ড। এর আগে ৩-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজও জেতে ইংল্যান্ড। অথচ এই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই দাপটের সঙ্গে (২-০) টেস্ট সিরিজ জিতেছিল পাকিস্তান।
সোমবার শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৫৪ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে ৭ উইকেটে ১৫৪ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ডেভিড উইলির দারুণ বোলিংয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে পাকিস্তান। ১১ রানের মধ্যে ফিরে যান দলটির প্রথম তিন ব্যাটসম্যান। উইলির বলে বোল্ড হন আহমেদ শেহজাদ, এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন রাফাতুল্লাহ মোহাম্মদ। রান আউট হন মোহাম্মদ হাফিজ।
মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে ৩৯ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়ে তুলেন শোয়েব মালিক। রিজওয়ান ও আকমল দ্রুত বিদায় নিলে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান।আফ্রিদির সঙ্গে ৬৮ রানের জুটিতে দলকে জয়ের পথে নিয়ে আসেন শোয়েব। ২০ বলে তিনটি ছক্কার সাহায্যে ২৯ রান করা আফ্রিদিকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন উইলি।
ক্রিস ওকসের করা শেষ ওভারে সোহেল তানভিরের ছক্কায় পাকিস্তানের জন্য সমীকরণ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। শোয়েব যখন আবার যখন স্ট্রাইক পান তখন দুই বলে দরকার দুই রান। উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে তিনি স্যাম বিলিংসের হাতে ধরা পড়লে পাকিস্তানের জয়ের পথ কঠিন হয়ে যায়। ৫৪ বলে ৮টি চার ও দুটি ছক্কায় ৭৫ রান করেন শোয়েব মালিক। ওকসের শেষ বলের বাই রানে খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। ইংল্যান্ডের উইলি ৩ উইকেট নেন ৩৬ রানে।
এর আগে ম্যাচের প্রথম বলেই জেসন রয়ের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তবে এর কোনো প্রভাব পড়তে দেননি জো রুট। পাল্টা আক্রমণে ২২ বলে ৩২ রানের ঝড়ো এক ইনিংসে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন তিনি। রুটকে বোল্ড করে তার সঙ্গে জেমস ভিন্সের ৪৮ রানের জুটি ভাঙেন আফ্রিদি। পরের পাকিস্তানের অধিনায়ক ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ফেরান মইন আলিকে।
এরপর অধিনায়ক মর্গ্যান , বাটলার ও বিলিংস দ্রুত ফিরে গেলে চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। ৮৬ রানে ৬ উইকেট হারানো দলটি লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে ভিন্স-ওকসের দৃঢ়তায়। সপ্তম জুটিতে এই দুই জনে গড়েন ৬০ রানে জুটি। অলরাউন্ডার ওকস ২৪ বলে ৩৭ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ভিন্স করেন ৪৬ রান।পাকিস্তানের পক্ষে আফ্রিদি ও তানভির দুটি করে উইকেট নেন।