আইনজীবীদের হট্টগোলে এজলাস ছেড়ে গেলেন বিচারক

SHARE
khaleda-court_123507ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,৩১ জানুয়ারি :   জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার যুক্তিতর্কের সময় আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর বিতর্কের কারণে এজলাস ছেড়ে চলে যান বিচারক।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত ৫-এ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ওই সময় মামলার আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
১৫ মিনিট পরে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে ফের এজলাসে ফিরেন বিচারক। তখন আদালত জুনিয়র আইনজীবীদের কথা না বলার জন্য পরামর্শ দেন। সিনিয়র আইনজীবীকে কথা বলার জন্য আদেশ দেন। এর পর আবার শুনানি শুরু হয়।
আজ শুনানির শুরুতে আইনজীবী আমিনুল ইসলাম আদালতে বলেন, ‘দুদকের পিপি বললেন, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ব্যক্তিগতভাবে কাজ করতে পারেন না। অথচ গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটে গিয়ে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বক্তব্য দিচ্ছেন। তা তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে করছেন, নাকি ব্যক্তিগত কাজ?’
এ সময় মোশাররফ হোসেন কাজল প্রতিবাদ শুরু করেন।
এর মধ্যেই উভয় পক্ষের আইনজীবীরা এগিয়ে এসে পরস্পরের মধ্যে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হন। এটা একপর্যায়ে হট্টগোলে পরিণত হলে বিচারক এজলাস ছেড়ে চলে যান।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার যুক্তিতর্ক গতকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে। রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে এ মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানিতে শুরু থেকেই উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজও তিনি সাড়ে ১১টার দিকে আদালতে উপস্থিত হন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ।
ওই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এ ছাড়া আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারিত রয়েছে।