ঢাকাই ছবির এক ঘোর রহস্য অমর নায়ক সালমান শাহরে মৃত্যু। এতগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও এই মৃত্যুর স্বাভাবিকতা মিলেনি, মিলেনি কোনো কূল-কিনারাও। কেউ দাবি করেছেন এটি আত্মহত্যা আবার নায়কের মা ও ভক্তদের দাবি সালমানের মতো প্রাণবন্ত মানুষ এভাবে নিজেই নিজেকে মরণ দিতে পারেন না।
তারা সালমানের মৃত্যুকে একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করে এর যথাযথ তদন্তের দাবিও জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি এখনো আন্দোলন-মানববন্ধনসহ নানা রকম কর্মকাণ্ডে সোচ্চার সালমান ভক্তদের বেশ কিছু সংগঠন।
সেইসাথে ছেলের হত্যার জন্য সালমানের স্ত্রী সামিরা ও বন্ধু খল অভিনেতা ডনসহ ১০ জনকে আসামি করে রমনা থানায় একটি মামলাও করেছিলেন সালমানের বাবা কমরউদ্দিন আহমেদ। সে মামলার আরেক আসামি ছিলেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই। কিন্তু সেই মামলা দীর্ঘ ১৯ বছরে কেবল সময়ই ক্ষেপন করেছে। কোনো সুরাহা দিতে পারেনি। বরং মামলা নিয়ে জল ঘোলা হয়েছে বহুবার।
তাই সালমান হত্যা মামলার সকল বাঁধা দূর করে এর অগ্রগতি কামনায় সোমবার, ৩০ নভেম্বর মানববন্ধন করেছে সালমান শাহ মানবকল্যান সংস্থা। এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সালমান শাহ জননী নীলা চৌধুরী। তিনি তার পুত্র হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সকল বাঁধা অপসারন করতে সমাজের প্রত্যেক স্তরের মানুষের সমর্থন কামনা করেন।
উল্লেখ্য, ঢাকাই ছবির ইতিহাসে সেরা রোমান্টিক নায়ক সালমান শাহ ১৯৯৬ সালের ৬ ই সেপ্টেম্বর মারা যান। তার মৃত্যু এখনো রহস্যে ঢাকা। সালমান পরিবারের জোর দাবি তাকে খুন করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সালমান শাহর পিতা কমর উদ্দিন আহমেদ সালমানশাহ মৃত্যুর পর রমনা থানায় সালমানশাহর স্ত্রী সামিরা, আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, ফারুক, সাজুসহ ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মমলা করেন।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে এই মামলার অন্যতম আসামী রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ আহমেদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দেন। দীর্ঘদিন জজকোর্টে মামলা চললেও এর নিষ্পত্তি হয়নি।
মামলা পরিচালনায় পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ উঠলে সেটি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হাতে ন্যাস্ত করা হয়। কিন্তু যে