রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন

SHARE
bd-mya-s_116013ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,১৯ ডিসেম্বর :  নির্যাতনের মুখেমিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরাতে ৩০ সদস্যের যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি করেছে দুই দেশ। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব দুই দেশের পক্ষে কমিটিতে নেতৃত্ব দেবেন। এখন পরবর্তী ধাপের কাজ শুরু হবে।
আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদুল হক ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিব মিন্ট থোয়ের বৈঠকে এ কমিটি গঠন করা হয়।
গত ২৩ নভেম্বর মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে দেশটির স্টেট কাউন্সেলরের দফতরের মন্ত্রী চ টিন্ট সোয়ে ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত পাঠাতে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেন। স্মারকে ২ মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার কথা বলা হয়েছিল। তবে কবে সেই প্রক্রিয়া শেষ হবে, তা নিয়ে সময়সীমার উল্লেখ ছিল না।
২৩ নভেম্বরের চুক্তি অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এ কমিটি গঠনের কথা ছিল এবং দুই মাসের মধ্যে অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি থেকে প্রত্যাবর্তন শুরু হওয়ার কথা ছিল।
সই শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঠিক কবে থেকে রোহিঙ্গারা ফেরত যাবে সেটা বলা যাবে না। সেটা তো বড় কথা নয়। যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন হয়েছে। খুব শিগগির রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যাবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে দুই দেশ আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। তাদের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি হয়েছে, তাতে আমি আশাবাদী। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এ বৈঠকে অংশ নিতে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব টিন্ট সোয়ে নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় পৌঁছায়।
যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া তদারকি করবে। আজকের বৈঠকে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠিত হয়েছে। পাশাপাশি, ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে করণীয় বিষয় সম্পর্কে আলোচনা হবে। ফলে এ বৈঠককে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনে জীবন বাঁচাতে গত ২৬ আগস্ট থেকে সীমান্ত পেরিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। রোহিঙ্গারা এখনো সে দেশ থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসছে।