ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত দাবি তিন নারীর

SHARE

tramওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,১২ ডিসেম্বর :  গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এক ডজনেরও বেশি নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন। তিন নারীর অভিযোগ তখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়। তবে এসব আলোচনা সমালোচনার মধ্যেই ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

তবে এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন তিন নারী। এ ঘটনায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কংগ্রেসে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা।

আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল সোমবার নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে জেসিকা লিডস, সাবেক মিস নর্থ ক্যারোলাইনা (২০০৬) সামান্থা হোলভে ও র‍্যাচেল ক্রুকস নামের ওই তিন নারী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলেন।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জেসিকা, সামান্থা ও র‍্যাচেলের অভিযোগ, অপ্রত্যাশিতভাবে ট্রাম্প তাদের শরীরে হাত দিয়েছেন, জড়িয়ে ধরেছেন এবং জোর করে চুমু দিয়েছেন। এতে তারা অপমানিত ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস জানিয়েছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওই তিন নারীর অভিযোগ মিথ্যা।

হলিউডের প্রযোজক হার্ভে ওয়েনস্টেইনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পর সারা বিশ্বে ঘটে যাওয়া যৌন হয়রানির ঘটনাগুলো সামনে চলে আসে। যেসব নারী ও পুরুষ যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন, তারা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ ‘#মি টু’ দিয়ে সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করছেন। এ পর্যন্ত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ১৬ জন নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন।

সাবেক মিস নর্থ ক্যারোলাইনা (২০০৬) সামান্থা হোলভে বলেন, ২০০৬ সালে মিস নর্থ ক্যারোলাইনা প্রতিযোগিতার সময় ট্রাম্প তার দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন। তার অশালীন ভঙ্গিতে তাকানো দেখে বিবৃত ছিলাম।

৭০ বছর বয়সী জেসিকা লিডসের অভিযোগ, ৩৮ বছর বয়সে তিনি নিউইয়র্ক থেকে একটি ফ্লাইটের প্রথম শ্রেণির কেবিনে ট্রাম্পের পাশের আসনে বসেছিলেন। সেখানেই জোর করে ট্রাম্প তাকে যৌন নির্যাতন করেন। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প প্রকৃত অর্থে কী রকম ব্যক্তি তা আমি মানুষকে জানাতে চাই। তিনি কতটা বিকৃত মানসিকতার তাও মানুষের জানা দরকার।’

র‍্যাচেল ক্রুকসের অভিযোগ, তিনি ট্রাম্প টাওয়ারে একটি রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানের অভ্যর্থনাকারীর চাকরি করতেন। তখন তার বয়স ছিল ২২ বছর। ২০০৫ সালে একদিন লিফটের বাইরে ট্রাম্প তাকে জোর করে জড়িয়ে ধরেন। এরপর তার ঠোঁটে চুমু দেন। র‍্যাচেল বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি বিস্মিত হয়েছিলাম এবং ভেঙে পড়েছিলাম।’

এদিকে ডেমোক্রেটদের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পদত্যাগের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ট্রাম্প যেহেতু যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, সেহেতু এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা না করাই ভালো। যেহেতু যৌন হয়রানির অভিযোগগুলো নতুন নয়, তাই নতুন করে এগুলো নিয়ে ভাবার দরকার নেই।

তবে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালি ওই তিন নারীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাদের সাহসিকার জন্য তাদের ধন্যবাদ। নিক্কি হ্যালি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পসহ যাদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে কোন বাধা নেই।