জামিন নিতে আজ আদালতে যাচ্ছেন খালেদা

SHARE

imagesওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,আদালত প্রতিবেদক,০৫ ডিসেম্বর : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট্র দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আজ মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

এদিন সকালে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত ঢাকার পঞ্চম বিশেষ আদালতে যাবেন তিনি।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান, খালেদা জিয়া সকাল ১১টার দিকে আদালতে উপস্থিত হবেন। আমরা তার জামিন  এবং আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেওয়া অসমাপ্ত বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করবো।

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বামদের ডাকা অর্ধদিবস হরতালের কারণে আদালতে যেতে পারেননি তিনি। পরে তার আইনজীবীরা দুপুর ২টায় হাজির হওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ করে দিয়ে বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় অপর একটি মামলা করে দুদক।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

অন্যদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলাটির অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।