ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,২৫ নভেম্বার : মিসরের উত্তরাঞ্চলীয় সিনাই প্রদেশে মসজিদে সন্ত্রাসীদের গুলি ও বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। ওই ঘটনায় আরও ১৩০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার জুমার নামাজের সময় আল-আরিশের কাছে বির-আল-আবেদ শহরের আল-রাওদাহ মসজিদে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পরে আহতদের হাসপাতালে নেয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সেও হামলা করে সন্ত্রাসীরা। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর বিবিসি, সিএনএন ও এএফপির।
দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, মুসল্লিরা নামাজরত অবস্থায় সন্ত্রাসীরা প্রথমে সংঘবদ্ধ বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর একদল বন্দুকধারী অতর্কিত গুলি চালায়।
প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল সিসি এ ঘটনায় তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন।
দেশটির মাসরিয়া টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খালিদ মুজাহিদ দাবি করেন, এটি নিঃসন্দেহে একটি সন্ত্রাসী হামলা। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি।
মিসরের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ‘নীল টিভি’র খবরে বলা হয়, সিনাইয়ের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা। হামলার শিকার মসজিদটি যে এলাকায় অবস্থিত সেটি সুফিবাদী ইদ আল জারিরির জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত। মনে করা হয়, এই ইদ আল জারিরিই সিনাইয়ে সুবিবাদের প্রতিষ্ঠাতা।
মিসরের সংঘাতময় ওই অঞ্চলে এটা অন্যতম ভয়াবহ হামলা। কেউ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। তবে ইতোমধ্যেই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি সাক্ষাৎ করেছেন।
২০১৩ সাল থেকে অঞ্চলটিতে জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালিয়ে আসছে মিসর সরকার। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সমর্থকরা ছিল হামলার টার্গেট। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ দায় স্বীকার করেনি। এর আগে সিনাইয়ে জঙ্গিদের গ্রেফতারের জন্য মিসরের নিরাপত্তা বাহিনী অ্যামবুশে গেলে পাল্টা আক্রমণে ৫০ পুলিশ নিহত হয়।