ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,১৭ নভেম্বর : কুমিল্লা মেঘনা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত অফিসার শাহ আলমের দুর্নীতির বিরুদ্ধে উপজেলা সমন্বয় সভায় গতকাল ভারপ্রাপ্ত অফিসারের বিষয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে মর্মে একটি সূত্রে জানা যায়। গতকাল ১৬ নভেম্বর উপজেলা পরিষদ সমন্বয় সভায় শিক্ষা ভারপ্রাপ্ত অফিসার শাহ আলমের বিরুদ্ধে লাগামহীন দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিলারা শিরিন। তাঁহারা জানান, দায়িত্ব নেয়ার পর মাত্র এক মাস পার না হইতে সহকারী শিক্ষা অফিসার শাহ আলম লাগামহীনভাবে দুর্নীতিমূলক চালিয়ে যাচ্ছে। একটি সূত্র জানায়,দুর্নীতিবাজ এই অফিসার চালিভাঙ্গা সরকারী প্রাইমারী স্কুলের দপ্তরীর বেতন বিল চালু করবার জন্য ত্রিশ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহন করে। হাইকোর্ট মামলা বিচারাধীন চার জন জাতীয়কৃত প্রধান শিক্ষক মোটা অংকের টাকা জোগান দিতে না পারায় দুর্নীতিবাজ এই অফিসার উপজেলা শিক্ষা কমিটির সিদ্ধানকে অগ্রাহ্য করে তাঁদেরকে গ্রেডেশন তালিকা হইতে বাদ দিয়ে বিতর্কিত তালিকা প্রস্তত করেছে। পরিষদের সদস্যরা জানান, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহ আলম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সহায়তায় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব গ্রহন করে দুর্নীতির মহোৎসব শুরু করেছে। তিনি চরনোয়াগাঁও সরকারী প্রাইমারী স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের পেনশন কেস নিস্পত্তি করতে বিপুল অংকের ঘুষ করেছেন মর্মে ভাইস চেয়ারম্যান দিলারা শিরিন অভিযোগ করেন। তিনি টাকার বিনিময়ে শিক্ষকদেরকে সুবিধাজনক বিদ্যালয়ে সংযুক্ত করছে। তিনি সহকারী শিক্ষক স্নীদ্ধা রানীকে গোবিন্দপুর সরকারী প্রাইমারী স্কুলে সংযুক্ত করে প্রতিমাসে এক হাজার টাকা হারে মান্থনী গ্রহন করে। সমাপনী পরীক্ষার দায়িত্ব বন্টনে ব্যাপক দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। নীতিমালা অগ্রাহ্য করে অর্থের বিনিময়ে কোন কোন শিক্ষককে একই ইউনিয়নের মধ্যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মর্মে সূত্রটি হতে জানা যায়। উল্লেখ্য, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহ আলমের অতীতের সকল কর্মস্থল হতেই লাগামহীন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে মর্মে শিক্ষক সিমিতির নেতৃবৃন্দদের মাধ্যমে জানা যায়। শাহ আলমের এক আত্মীয় পুলিশ উর্ধতন কর্মকর্তা বলে,স্থানীয় অনেকে ভয় ভীতি দেখানো অভিযোগ আছে।