জাতির পিতা ও চার নেতার সন্তানরাই দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে: মতিয়া

SHARE

mওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,০৩ নভেম্বর :  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, মনসুর আল ও কামারুজ্জামানের সন্তানরাই লড়াই করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

আজ শুক্রবার পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদেরকে এ কথা বলেন মতিয়া। ১৯৭৫ সালে যে ষড়যন্ত্রে ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বরের হত্যাযজ্ঞ ঘটান হয়েছিল সেই ষড়যন্ত্র এখনও চলছে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

আজ শুক্রবার সকালে প্রতিকৃতিতেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান দলের সভাপতিমণ্ডলীর দুই সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও সাহারা খাতুন।

এই দিনে সাধারণত জাতীয় চার নেতার কোনো না কোনো সন্তান উপস্থিত থাকেন। তবে আজকের আয়োজনে তাদের কেউ ছিলেন না। পরে কারা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাই তাদের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ৩ নভেম্বরের জেলহত্যা হয়েছিল। এখনো সেই ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে।’

কারা এই ষড়যন্ত্র করছে- এমন প্রশ্নে মতিয়া বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, যারা বাংলাদেশের অভ্যুদয় চায়নি, যারা বাংলাদেশকে আজও মেনে নিতে পারে না, তারাই ষড়যন্ত্র করছে।’

‘তবে সমস্ত ষড়যন্ত্রকে ভেদ করে জাতির কন্যা ও চার নেতার বংশধররা এক হয়ে লড়াই করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’

এর আগে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। পরে কারা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত আইজি প্রিজন ইকবাল হাসান। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মতিয়া চৌধুরী ও সাহারা খাতুন।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আাগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার আড়াই মাস পর মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাতীয় চার নেতাকে বন্দী অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়। এই দিবসটি আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চার নেতার স্মরণে তৈরি করা হয় জাদুঘর। স্থাপন করা হয় তাদের প্রতিকৃতি।