ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,ক্রাইম রিপোর্টার,০২ নভেম্বর : কুমিল্লা হোমনা উপজেলার প্রায় প্রতিটি জন সাধারণ বø্যাকমেইলিংয়ের শিকার হচ্ছে এমন কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূক্তভোগি একজন রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুর মালেক মিয়ার ছেলে খলিল মিয়া। গত ৩০ অক্টেবার খলিল মিয়া তার বাড়ীতে সমাজের সমাজের সুধীজনদের ডেকে এনে তাদের নিকট অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয় গত ২৯ অক্টোবর খলিল মিয়া পাশের গ্রামে এক ওয়াজ মাহফিলে গিয়েছেন। সে সুযোগেই পাশের বাড়ীর কয়েকজন হোমনা থানার পুলিশকে অবহিত কর যে খলিল মিয়া বাড়ীতে ইয়াবা আছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কিছুই পায়নি। পরে পার্শ্ববর্তী বাড়ীর কয়েকজন ডেকে এনে পুলিশ বিষয়টি অবহিত করেন। পার্শ্ববর্তীরা খলিল মিয়াকে ভালো মানুষ হিসাবে জানালে পুলিশ ঘটনার মূল রহসটি বুঝতে পেরে কৌশলে ঐ তথ্যদাতাদের মোবাইল ফোনে ডেকে এনে তাদের দেহ তল্লাশী করে দুজনের কাছেই বেশ কয়েক পিছ ইয়াবা পায়। পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। খলিল মিয়া আরও অভিযোগ করেন ঘটনার প্রায় চার পাঁচদিন আগে তার সহপাট্টি আলম মিয়ার সাথে ঐ ব্রীজে ঘুরতে গেলে গ্রেফতারকৃতদের একজন আল আমীন খলিল মিয়াকে উদ্দেশ্য করে বরে যখন ফাঁসায়ে দিব তখন বুঝবি মজা এ বিষয়ে সমাজের অভিজ্ঞ মহলের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তারা বলেন তথ্য প্রদানকারীরা পুর্ব হতেই খারাপ চরিত্রের অধিকারী, এরা দশ পনের জনের একটি সংবাদ দল এদের বয়স কম হলেও এরা খুবই দুধর্ষ। পাড়া- মহল্লাায় চুরি, ছিনতাই, মাদকসেবন, ইভ-টিজিং সহ অনেক প্রকার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। চলতি বছরের মে মাসের ১২ তারিখ পবিত্র শবে বরাতের রাত একটি পরিবারের মানুষদের ঘরের ভিতরে রেখে তালাবদ্ধ করে জিম্মি করে রাখে। ৭ জুন পাশের আরও একটি বাড়ীতে বেশ কয়েকটি কাঁঠাল চুরি করে এবং অনেক গুলো কাঁঠাল কেটে গাছের নিচে ফেলে যায় এবং পুকুরের কয়েকটি জাল কেটে ফেলে। পরদিন এ ঘটনায় হোমনা থানায় একটি প্রাথমিক দরখাস্ত করা হলে পুলিশ ঘটনার তদন্তে এসে স্থানীয়ভাবে মিমাংশা করার কথা বলে। ঐ দিনই সংগবদ্ধ দলের পাঁচজনকে সামাজিক বিচারের আওতাভূক্ত করা হয়।
সুধীজনেরা আরও জানান এই সংঙ্গবদ্ধ দলটির একজন মূল হোতা রয়েছে। ঐ মূল হোতার নাম বললেও তাদের কঠিন শায়াস্তা করার আশ্বাস দেন সমাজ বাসীগন। নতুন বা মূল হোতার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। নতুবা সমাজে আরও বড় ধরনের বিশৃংখলা হওয়ার আশঙকা রয়েছে বলে জানান। গ্রেফতার কৃতরা হলেন হকসাব মিয়ার ছেলে আল-আমীন ও শিশুমিয়ার ছেলে কালাম। (চলবে)