তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন,উত্তরা গণভবনের গাছ চুরিতে নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ৬ জন জড়িত

SHARE

1508769145ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নাটোর প্রতিনিধি,২৪ অক্টোবর :  উত্তরা গণভবনের গাছ চুরির সত্যতা পেয়েছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি। তদন্তে এ ঘটনার সঙ্গে গণপূর্ত বিভাগ নাটোর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সরাসরি ও অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সোমবার সন্ধ্যায় নাটোরের জেলা প্রশাসক এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন।
জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানান, অবৈধভাবে গণভবনের গাছ বিক্রির নিলাম দাম ছিল ১৮ হাজার টাকার মতো। অথচ তদন্তে দেখা গেছে, প্রায় ৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকারও বেশি দামের গাছ কাটা হয়েছে। এই চুরির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন গণপূর্ত বিভাগ নাটোর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান। নিলামগ্রহীতা সোহেল খান ও গণপূর্ত বিভাগ নাটোর কার্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির সাময়িক কর্মচারী (অনিয়মিত) সবুর তালুকদার নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগসাজশ করে এই চুরির ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাঁদের এই কর্মকাণ্ড জানাশোনার পরও গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) জিয়াউর রহমান, বিভাগীয় কর্মকর্তা (এসও) মো. কামরুজ্জামান ও কেয়ারটেকার আবুল কাশেম কোনো প্রতিরোধ সৃষ্টি করেননি। ফলে নির্বিঘ্নে চুরির ঘটনা ঘটেছে। তদন্তকালে উত্তরা গণভবনের ভেতরের ১৬টি গাছ কাটার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাঞ্চলীয় আবাসস্থল উত্তরা গণভবনের ভেতরের ঐতিহ্যবাহী গাছ চুরির ঘটনাটি সারা দেশে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে। তাই এই ঘটনা দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।
গণভবনের গাছ কাটা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ার পর জেলা প্রশাসন ওই দিনই পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজ্জাকুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খাইরুল আলম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শামিম ভুঁইয়া, সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামিম ভুঁইয়া ও নেজারত কর্মকর্তা (এনডিসি) অনিন্দ্য মণ্ডল।
তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল। তদন্ত কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আজ বেলা তিনটায় জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজ্জাকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সরেজমিনে তদন্ত করেছি। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছি। উত্তরা গণভবনের প্রধান ফটকের গোপন ক্যামেরায় (সিসি) ধারণ করা ছবি পর্যালোচনা করেছি। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের দ্বারা গাছের মাপজোক করে মূল্য নির্ধারণ করেছি। পরে সবাই বসে প্রতিবেদন তৈরি করে জমা দিয়েছি।’ রাজ্জাকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছি।’