যশোরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান, আটক ১

SHARE

 aওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,২৪ অক্টোবর : সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা যশোর শহরতলীর পাগলাদহ মালোপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযানের আগে আটক করা হয় আস্তানার মালিক মোজাফফর হোসেনকে।

রাত পৌনে ৮টার দিকে বাড়িটি ঘিরে রাখার পর অভিযান শুরু হয় এবং রাত ১০টার দিকে তা শেষ হয়। এরপর ব্রিফিং করেন যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।

ব্রিফিংকালে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, এই বাড়ির মালিক মোজাফ্ফর হোসেনকে জেলা শহর থেকে আগেই আটক করা হয়। তার দেওযা তথ্য অনুযায়ী পুলিশ জানতে পারে ওই বাড়িতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র মজুত রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাড়িটি ঘেরাও করে রাখা হয়। অভিযানে ৫০টি গ্রেনেডের বডি, সুইচ ৫০টি, ৩১টি ব্রেকার, ১টি পিস্তল, ৩টি ম্যাগজিন, ৪ রাউন্ড গুলি, ৫ লিটার এসিডসহ বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান আরও জানান, মোজাফফর জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, সে নব্য জেএমবি’র এই অঞ্চলের সংগঠক। তার বাসায় জঙ্গিদের অবাধ যাতায়াত ছিল। এই অভিযানে মোজাফফরকে আটক করা হয়েছে। তবে তার পরিবারের সদস্য স্ত্রী ও দুই মেয়েকে পুলিশের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এর আগে সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে এই বাড়িটি ঘিরে ফেলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৬টি ইউনিট। বগুড়া ডিবি, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সদস্য, গোয়েন্দা পুলিশ, সোয়াট, যশোর পুলিশ এবং বিস্ফোরক ডিসপোজাল ইউনিটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছয়টি টিম।

মোজাফফরের প্রতিবেশি সাঈদুর রহমান জানান, বাড়িটির মালিক মোজাফফর প্রায় একযুগ আগে এখানে বাড়িটি নির্মাণ করেন। আধাপাকা টিনসেডের বাড়িতে মোজাফফর স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে থাকেন। তিনি যশোর এমএম কলেজ পুরাতন ছাত্রাবাসের মসজিদে ইমামতি করেন। তার স্ত্রী রাজিয়া দর্জির কাজ করেন।

উল্লেখ্য, এ নিয়ে দু’সপ্তাহের ব্যবধানে যশোরে দুটি জঙ্গি আস্তানার সন্ধান মিলল। এর আগে গত ৮ অক্টোবর যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোড এলাকার একটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান মেলে। দিবাগত রাত ২টা থেকে সেখানে অভিযান শুরু হয়। শ্বাসরুদ্ধকর এ অভিযান ‘মেল্টেড আইস’ শেষ হয় সোমবার বিকেল ৫টার দিকে। অভিযানে সন্দেহভাজন জঙ্গি হাফিজুর রহমান সাগর ওরফে মশিউর রহমানের স্ত্রী ও হলি আর্টিজান হামলার ‘অন্যতম হোতা নিহত মারজানের বোন খোদেজা আক্তার খাদিজা তিন সন্তান নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। সেখান থেকে ৩টি সুইসাইডাল ভেস্ট, কয়েকটি নকশাসহ বিভিন্ন উপকরণ উদ্ধার করা হয়।