ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,২৩ অক্টোবর : মিয়ানমারের রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। সেই সঙ্গে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়াটাই দীর্ঘমেয়াদি সমাধান বলে মনে করে দেশটি।
দুই দিনের সফরে গতকাল রবিবার সকালে ঢাকায় আসার পর সোনারগাঁওয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর সন্ধ্যায় গণভবনে যান সুষমা। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবশ্যই ফেরত নিতে হবে মিয়ানমারকে।’
রোহিঙ্গা নাম উচ্চারণ না করে শরণার্থীদের ফেরত নেওয়ার কথা বললেও সন্ত্রাসীদের শাস্তির কথাও বলেন সুষমা।
বিশাল সংখ্যার এই শরণার্থীদের বাংলাদেশের জন্য ‘বড় বোঝা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কত দিন এই ভার বহন করবে। এর একটা স্থায়ী সমাধান হতে হবে।’
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা রাখার উপর জোর দেন তাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সহিংসতার ঝুঁকিতে ভারত গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা জনসংখ্যার কল্যাণকে মনে রেখে সংযমের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানাই।’
বৈঠকে শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, ভারতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সেদেশের পররাষ্ট্র সচিব জয়শঙ্কর এবং ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। বৈঠকের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর ব্যবহৃত কিছু সমরাস্ত্র প্রদানের অনুষ্ঠান হয়।
বাংলাদেশকে শুভেচ্ছার স্মারক হিসেবে তখন ব্যবহৃত এমআই হেলিকপ্টার, দুটি ট্যাংক, ২৫টি বিভিন্ন অস্ত্র দিয়েছে ভারত। গণভবনের অনুষ্ঠানে ৩৮ ক্যালিবারের একটি সার্ভিস রিভলবার শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন সুষমা স্বরাজ।