মেঘনায় ট্রলার চালক হত্যাকান্ডের নেপথ্যে মূল ঘাতক আ’লীগের সভাপতি ও সেক্রেটারীর বহিস্কার দাবি

SHARE

latif-nurulওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,দাউদকান্দি প্রতিনিধি,২২ অক্টোবর : কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের চাঞ্চল্যকর দিনমজুর ট্রলার চালক আমির হোসেন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী চালিভাঙাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আঃ লতিফ সরকার ও মেম্বার নূরুল আমিনকে দলীয় সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অবিলম্বে বহিস্কারের দাবি উঠেছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে। নির্মম এই হত্যার প্রতিবাদে ও ফাঁসির দাবিতে চালিভাঙ্গার মানুষ ফোঁসে উঠেছে। মানব বন্ধন. বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা চলছে। শুক্রবারও জুম্মার নামাজের পর চালিভাঙ্গা বাজারে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ এক বিক্ষোভ মিছিলে চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে আওয়ামী লীগ থেকে এবং ইউপি পদ থেকে বহিস্কারের দাবি তুলেন। এলাকার লোকজন জানায়, চেয়ারম্যান লতিফ সরকার , মেম্বার নূরুল আমিন ও কুখ্যাত ডাকাত দেলোয়ার হোসেনসহ ২০/২৫জনের একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা, গ্রামের বিচার-শালিসি থেকে ঘুষ আদায়, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, খুন, রাহাজানিসহ নানা লোমহর্ষক অপরাধ করে আসছে দিনের পর দিন। এরই প্রতিাবাদ করে আসছে এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ন, সানাউল্লাহ সরকার, কাইউম হোসাইনসহ এলাকার গন্যমান্য লোকজন। এরই জের ধরে এলাকার আধিপত্য এবং অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রনে নিতে প্রতিবাদীদের কন্ঠরোধ করতে (ফাঁসাতে) গত ১৫ অক্টোবর রাতে সৎভাই ট্রলার চালক আমির হোসেনকে নির্মমভাবে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয় কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইসলামাবাদ গ্রামের মৃত হানিফ মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু ডাকাতসহ তার সঙ্গীরা। এর ৩৬ঘন্টা পর মঙ্গলবার চালিভাঙ্গা বাজারের বাশ বাজার খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় মেঘনা থানা পুলিশ আমির হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের শরীরে একাধিক ছুরিকাঘাত রয়েছে। এদিকে সোমবার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মেঘনা থানায় মিথ্যা মামলা করতে ব্যর্থ হয়ে দেলোয়ার হোসেন দেলু ডাকাত, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ সরকার ও মেম্বার নূরুল আমিনসহ ৫জন বুধবার কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলে কথা-বার্তায় গড়মিল হওয়ায় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার ঘাতকদের কুমিল্লার ৩নং আমলি আদালতে হাজির করলে তারা হত্যার কথা অকপটে স্বীকার করে। এদিকে হত্যায় জড়িত ৫জন মূল ঘাতক গ্রেফতার হয়েছে এ খবর এলাকায় জানাজানি হলে তাদের ফাঁসির দাবীতে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ চালিভাঙ্গা বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। হাজার হাজার মিছিরকারীদের উপস্থিতিতে উত্তাল হয়ে উঠে সমগ্র এলাকা। বিক্ষোভ কারীরা এসময় আমির হোসেন হত্যার মূল নায়ক দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু ডাকাত ও হত্যার পরিকল্পনাকারী চেয়ারম্যান আবদুল লতিফসহ ঘাতকদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। এদিকে এলাকাবাসী জানায়, একই কায়দায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অপরাধের গডফাদার আঃ লতিফ সরকারের নির্দেশে ডাকাত দেলোয়ার ২০০১ সালের ২৩ নভেম্বর রাতে তার বাবা হানিফ মিয়াকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে এলকার নিরীহ-নিরপরাধ লোকজনদের আসামী করার ভয় দেখিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি করেছে। পরে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে রফাদফা করে।