ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,০৫ আগস্ট : কুমিল্লার হোমানায় চোর উপাধি রটিয়ে জলিল মেম্বারকে গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী। নেপথ্যে নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনা রয়েছে বলে এলাকায় জানা যায়। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে এসকে লিটনের বাড়ীতে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিভিন্ন ফেসবুকে এই ঘটনার আপত্তিকর ছবিপোষ্ট করে দেখা যায়।
সরজমিনে গিয়ে উভয় পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ৩ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়নের সাবেক প্রবাসী এসকে লিটনের ঘরের লাকড়ীর স্তুপের নিচ থেকে স্থানীয় সাবেক ওয়ার্ড জলিল মিয়াকে বের করে গণধোলাই দেয় স্থানীয় সুশিল সমাজের কর্মীরা। রাতেই খবর পেয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতগণ সুষ্ঠ বিচারের আশ^াস দিয়ে জলিল মেম্বারকে সিএনজিতে করে হোমনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করায়। এদিকে চোর ধরেছে এমন গুঞ্জণ শুণে টহলরত পুলিশের এসআই মো. মোয়াজ্জেম হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে আহতাবস্থায় জলিল মেম্বারকে দেখতে পেয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দেন বলেও জানা যায়।
শিবপুর গ্রামের সাবেক প্রবাসী এসকে লিটন জানান, জলিল একটা চোর-বদমাইস। আমি জমি বিক্রির টাকা তুলে এনে ঘরের মধ্যে রাখি। এ খবর সে জেনেই আমার ঘরে ডুকেছিলো আমার টাকাগুলো চুরি করার জন্য। ভাগ্যগুণে আমার ভাতিজারা টের পেয়েছিলো এবং আমার ঘরের লাকড়ির ভিতর লুকানো অবস্থায় তাকে বের করে আনে। পরে গ্রামের মাতব্বররা এসে সুষ্ঠ বিচারের কথা বলে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন যুবক জানায়, জলিল মেম্বার একটা লুইচ্চা, বদমাইশ। ওর পরিবারের অনেকের নামেই এমন শত শত অভিযোগ রয়েছে। সে মেম্বার থাকাকালে অনেক নারীকেই ক্ষতি করেছে। কেউ ভয়ে মুখ খুলার সাহস পায় নাই। আবার কেউবা লজ্জায় প্রকাশ করতে চায় নাই।
তবে অভিযুক্ত জলিল মেম্বার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বিকার করেন এবং এটি একটি ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পিত নাটক উল্লেখ করে বলেন, আমাকে লিটনের স্ত্রী রাত ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে তার আত্মীয়দের দিয়ে মারার চেষ্ঠা করে। বিপদে পড়লে কতজনেই কত কথা বলে। ওরা যেভাবে কথা বলছে, এখনত মনে হয় পুরো গ্রামের মহিলাকেই আমি ক্ষতি করেছি। যাক সবই ভাগ্য! এখন আমি মামলা দিলে ওরাও মামলা দিবে তাই বাড়াবাড়ি করলাম না। মাতব্বররা বিচার করবে বলেছে, দেখি তারা কি বলে।
হোমনা থানার এসআই মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমি টহলরত অবস্থায় ছিলাম। এলাকায় শোর পরেছে, চোর ধরা পরেছে নাকি। তাই শিবপুরের দিকে যেতেই রাস্তায় দেখি সিএনজিতে করে মেম্বারকে আহতাবস্থায় নিয়ে যাচ্ছে। পরে জানলাম কোন মহিলার ঘরে নাকি আটক করেছে। তবে আমার জানা মতে কোন পক্ষই মামলা দেয়নি।