ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,সাভার প্রতিনিধি,৩১ জুলাই : বগুড়ায় ধর্ষিতা ও তার মাকে মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার ঘটনায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারের স্ত্রী আশা খাতুন, তার গাড়ি চালক জিতু এবং তুফানের আরেক সহযোগী মুন্নাকে সাভার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার রাত ১১টার দিকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
বগুড়ার অ্যাডিশনাল পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, তুফানের স্ত্রীসহ আটক ওই তিনজনকে আনতে বগুড়া থেকে পুলিশের একটি দল রাতেই সাভারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
এর আগে রোববার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি ও তার মা রুমি বেগমকে পাবনা শহর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই ঘটনায় জিঞ্জাসাবাদের জন্য রাত সোয়া ৮টার দিকে শহরের বাদুড়তলা এলাকা থেকে কাউন্সিলর রুমকির বাবা জামিলুর রহমান রুনুকে আটক করে পুলিশের অপর একটি টিম।
গ্রেপ্তারকৃত নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার জাহিদ হাসানের স্ত্রী। তার মা রুমি বেগম শহরের বাদুড়তলা এলাকার জামিলুর রহমানের স্ত্রী। আর আটক রুমকির পিতা জামিলুর রহমান রুনু বাদুড়তলা এলাকার মৃত জিল্লার রহমানের বড় ছেলে। আশা কাউন্সির রুমকির ছোট বোন।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) সনাতন চক্রবর্তী জানান, আলোচিত এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত রুমকি ও তার মা রুমি বেগম, ছোট বোন আশা, গাড়ি চালক জিতু এবং সহযোগী মুন্না ও শিমূল ঘটনার পরই গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপন করে। কিন্তু পুলিশ ঘটনার পর থেকে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। সেইসঙ্গে রুমকির পিতা জামিলুর রহমান রুনুকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক করার কথাও জানান তিনি।