ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,বগুড়া প্রতিনিধি,৩১ জুলাই : বগুড়ায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং পরে সে ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার মামলার পলাতক দুই আসামি বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি এবং তার মা রুমি বেগমকে পাবনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ দুজন ঘটনার মূল আসামি তুফান সরকারের স্ত্রীর বড় বোন ও শাশুড়ি।
আজ রোববার সন্ধ্যায় তাদেরকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, পলাতক ওই দুজনের পাবনা অবস্থানের কথা জানতে পেরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম বগুড়া থেকে রওনা হয়। রোববার সন্ধ্যায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার কাউন্সিলর রুমকি ও তার মা রুমি বেগমকে বগুড়ায় আনা হচ্ছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
তবে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হলেও শ্রমিক লীগের বহিষ্কৃত নেতা তুফানের স্ত্রী আশাসহ মামলার অপর চার আসামিকে পুলিশ এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
গত ১৭ জুলাই এক কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন শ্রমিক লীগ বগুড়া শহর শাখার তৎকালীন আহ্বায়ক তুফান সরকার। এর ১০ দিন পর তুফান সরকারের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকির নেতৃত্বে ‘একদল সন্ত্রাসী’ মেয়েটি ও তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে শহরের চকসূত্রাপুর এলাকায় কাউন্সিলর রুমকির বাড়িতে মা ও মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে বেধড়ক পেটানো হয়।
ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে গত ২৮ জুলাই রাতে বগুড়া সদর থানায় ১০ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন। এরপর রাতেই তুফান এবং আতিকুর রহমান আতিক, আলী আজম দিপু ও রূপম নামের তার তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার প্রধান আসামি তুফান এবং তার দুই সহযোগী দিপু ও রূপমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী ও তার মা এখন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন।