‘ইউএনও নাজেহালে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে’

SHARE

anisul_huq_255031ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,২৬ জুলাই : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘ইউএনওর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় জামিন নিয়ে অহেতুক দ্বিধা-দ্বন্দ্ব তৈরি করায় বরিশালের সিএমএমকে সরানো হলে বিচার বিভাগের সম্মান আরও বাড়বে। এ ঘটনায় বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। প্রথমে তাকে বদলি করতে হবে, তারপর তিনি বিচারিক কোন কাজে অনিয়ম করেছেন কি-না, তা তদন্ত করে দেখা হবে।’

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে কোডার্স ট্রাস্ট বাংলাদেশ আয়োজিত আইটির কৃতী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

আইনমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যেখানে জামিন দেওয়ার বিষয়ে একটা সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে ওই সিএমএমকে সরিয়ে আনা হলে বিচার বিভাগের সম্মান ও মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পাবে।’

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে বঙ্গবন্ধুর ছবি ‘বিকৃত’ করে ছাপানোর অভিযোগে গত ৭ জুন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারিক সালমনের (বর্তমানে ইউএনও বরগুনা সদর) বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার মানহানির মামলা হয়। বরিশাল মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে মামলাটি করেন জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক (বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত) ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ওবায়েদুল্লাহ সাজু। বিচারক আলী হোসেনের আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সমন জারি করে ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর ১৯ জুলাই ওই মামলায় বরিশাল সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন ইউএনও তারিক সালমন। আদালত প্রথমে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলেও পরে জামিন মঞ্জুর করে।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিমে কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবরে পাঠানো আইন মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, এতে আদালত নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে জনমনে। ইউএনও তারিক সালমনকে জামিনের বিষয়ে গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রচার হয়েছে, তাতে বিচার বিভাগের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। সেই সাথে বিচারক আলী হোসেনের বিনা ভাড়ায় সার্কিট হাউজে থাকা ও গ্রিন লাইন পরিবহনে ভাড়া পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠেছে। এতে বরিশাল মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচার কার্যক্রম নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠতে পারে।

এ যুক্তিতে মোহাম্মদ আলী হোসেনকে জামালপুরে বদলির সুপারিশ করা হয় সেই চিঠিতে। এ ঘটনায় সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত হওয়া দরকার বলেও সুপারিশে উল্লেখ করে আইন মন্ত্রণালয়।