ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,২৪ জুলাই : ব্রহ্মপুত্র নদ ব্যবহার করে বাংলাদেশ-ভারত একটি নতুন জলপথ (পানিপ্রবাহের পথ) তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছেন ভারতের সড়ক যোগাযোগ ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী মানসুখ এল মানদাভিয়া। গত শনিবার আগরতলায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতীয় অনলাইন দৈনিক ফাস্টপোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানদাভিয়া বলেছেন, ভারত এবং বাংলাদেশ সরকার ব্রহ্মপুত্র নদ ব্যবহার করে দুই দেশের মধ্যে একটি নতুন পানিপ্রবাহের পথ তৈরির জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ভারত সরকার ব্রহ্মপুত্র নদে তার নিজস্ব অংশে খনন কাজ করবে এবং বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ তার নিজস্ব অংশে। আমরা আশা করছি আগামী এক বছরের মধ্যেই এর কাজ শুরু হবে। নতুন এই পানিপ্রবাহ পথ বাস্তবিকভাবে কাজে লাগানো হবে এবং এটি দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও যোগাযোগকে ত্বরান্বিত করবে।
ভারত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে পানিপ্রবাহ পথ সংযোগসহ বহুমুখী যোগাযোগ প্রকল্পকে প্রাধান্য দিচ্ছে। ইতোমধ্যে এ ধরনের ১৬টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। যার বেশিরভাগই বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত। বাংলাদেশ এবং ভারতের স্থলসীমা ২ হাজার ৯৭৯ কিলোমিটার এবং জলসীমা ১ হাজার ১১৬ কিলোমিটার। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী প্রবাহিত হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্রহ্মপুত্র নদ।
ত্রিপুরার যোগাযোগ সচিব সমরজিৎ ভৌমিক জানান, ইতোমধ্যে ত্রিপুরার গোমতী এবং হাওড়া নদীর সঙ্গে বাংলাদেশের নদীর সংযোগ বাড়ানোর জন্য একটি প্রস্তাবনা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি ত্রিপুরার গোমতী এবং বাংলাদেশের মেঘনা নদীর মধ্যে পানিপ্রবাহ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী মানদাভিয়া ১২ কোটি টাকা অনুমোদন করেছেন। ১৯৭২ সাল থেকে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে চারটি নৌপথ চালু রয়েছে। কার্যকর চারটি নৌপথ হল-বাংলাদেশ হয়ে কলকাতা থেকে পাণ্ডু, কলকাতা থেকে করিমগঞ্জ, রাজশাহী থেকে ধুলিয়ান এবং করিমগঞ্জ থেকে পাণ্ডু থেকে করিমগঞ্জ। মানসুখ এল মানদাভিয়া গত শনিবার আগরতলায় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এবং গভর্নর তথাগত রায়ের সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে যান।