ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,বরিশাল প্রতিনিধি,২৩ জুলাই : বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে হওয়া মানহানির মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মামলা প্রত্যাহারের জন্য আজ রবিবার আদালতে আবেদন করেন ওই মামলার বাদী আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহ। শুনানি শেষে বরিশালের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম অমিত কুমার দে ওই আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে ওই মামলা খারিজ করে দেন।
শুনানিতে মামলার বাদী ও বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওবায়েদুল্লাহর কাছে আদালত জানতে চান, তিনি কেন মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন? জবাবে ওবায়েদুল্লাহ বলেন, শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ‘বিকৃত’ ছবি ছাপানোর বিষয়টি নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে মূল ছবি দেখে ভুলের অবসান হয়েছে। এ কারণে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সালমন বলেন, মামলাটি আজ প্রত্যাহার হয়েছে বলে শুনেছেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘বিকৃত’ ছবি (পঞ্চম শ্রেণির এক শিশুর আঁকা ছবি) ছাপানোর অভিযোগে ইউএনও তারিক সালমনের বিরুদ্ধে গত ৭ জুন বরিশাল মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ৫ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন ওবায়েদুল্লাহ। তারিক সালমন তখন বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত জুনের প্রথম সপ্তাহে তারিক সালমনকে বরগুনা সদর উপজেলায় বদলি করা হয়।
মানহানির মামলায় বিচারক ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে তারিক সালমনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে সমন জারি করেন। গত বুধবার ওই মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন করেন তারিক সালমন। আদালত প্রথমে তা নামঞ্জুর করেন। পুলিশ ইউএনওর দুই হাত শক্ত করে ধরে আদালতের হাজতখানায় নেয়। অবশ্য দুই ঘণ্টা পর তার জামিন মঞ্জুর করা হয়।
তারিক সালমনকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় জনপ্রশাসনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। মামলার বাদী ওবায়েদুল্লাহকে গত শুক্রবার দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
গাজী তারিক সালমনকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় বরিশাল আদালত পুলিশের ৬ সদস্যকে গতকাল শনিবার প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তারা হলেন- এসআই নিরিপেন দাশ, এটিএসআই শচীন ও মাহবুব এবং কনস্টেবল জাহাঙ্গীর, হানিফ ও সুখেন।
এই পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার কথা জানিয়েছেন বরিশাল মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সহকারী কমিশনার নাসিরুদ্দিন।
তিনি শনিবার রাতে বলেন, ‘প্রশাসনিক কারণে তাদের আদালত থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।’