ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,১২ জুলাই : দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে মাদকাসক্তের হার। দেশ উন্নত হলেও এসব বন্ধ হচ্ছে না। বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের গবেষণা বলছে, প্রায় ৮৫ ভাগ পথশিশুই মাদকাসক্ত। হতাশা আর ক্ষোভ থেকে এসব শিশু মাদকে আসক্ত হয়ে জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে।
এসব পথশিশুকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে বেসরকারি সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চেয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।
এ পথশিশুদের না আছে ভাত, না আছে পাত। ট্রেন, বাস ও লঞ্চে বিনা টিকিটে ভ্রমণ এখান থেকে সেখানে। যেখানে রাত সেখানেই কাত। অবুঝ শিশুদের গ্রাস করছে মাদক। বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্যমতে, পথশিশুদের ৮৫ শতাংশই কোন না কোন মাদকে আসক্ত।
এরমধ্যে ধূমপান করে ৪৪ শতাংশ শিশু, বিভিন্ন ট্যাবলেট সেবন করে ২৮ শতাংশ শিশু, হেরোইন সেবন করে ১৯ শতাংশ শিশু, ইনজেকশনের মাধ্যমে নেশা করে ৮ শতাংশ শিশু।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা শহরে কমপক্ষে ২২৯টি স্পট রয়েছে যেখানে ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুরা মাদক সেবন করে। অভাব আর স্বভাব দুয়ে মিলে তাদের কাছে জীবন মানেই যেনো যন্ত্রণা।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ এর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম রাব্বানী বলেন, পথশিশুরা মাদকদ্রব্য সরবরাহ করতে গিয়ে নিজেরাই এতে জড়িয়ে পড়ে। মাদকাসক্তের কারণে এসব শিশু মানসিক ও শারিরীকভাবে যেমন দুর্বল, তেমনি হয়ে ওঠে হিংস্র।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অশিক্ষা, নানা কারণেই পরিবার থেকে বিচ্যুত হচ্ছে এসব শিশু। তাদের জন্য কাউন্সিলিং করা জরুরি।
আর মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি মনে করেন, এসব শিশুর জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগ দরকার।