ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,সৈকত দত্ত, শরীয়তপুর থেকে,০১ জুলাই : শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক মোল্যাকে এলাকাবাসী গনধোলাই দিয়েছে। গত ২৯ জুন বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি দরবার শেষে তাকে এই গনধোলাই দেয় এলাকাবাসী। এই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
২৯ জুন বৃহস্পতিবার রাতে চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক মোল্যা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে আলমগীর হোসেন নামে একজন তার ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। সেখানে লেখা আছে চন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক মোল্যা নিজ ইউনিয়নে অনৈতিক কাজ করার কারণে এলাকাবাসী গনধোলাই দিয়েছে। তার এই স্ট্যাটাসে শনিবার দুপুর ১টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত ১২৬টি কমেন্ট ৬১টি শেয়ার, ১৮১টি লাইক আসে।
এতে ফেরদৌস আকাশ নামে একজন লিখেছেন শত অন্যায় করলেও গনধোলাই দেয়া মানবাধিকার লংঘন। কেননা অন্যায় করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়াই উত্তম হতো।
মোঃ খলিল নামে একজন লিখেছেন চেয়ারম্যান সাহেব কখনো অন্যায় করতে পারে না তাই তাকে কারো বাপের ক্ষমতা নাই আইনে দিবে। আরে অরা তো বোখাটে পোলাপান তাই চেয়ারম্যান সাহেব এরম ত ভদ্র একজন লোককে মারছে। তিনি জদি শন্তু সুস্থ লোক না হয় তাহলে আজকে হাজার হাজার লাশ পরে থাকত ৬নং এ।
উত্তরে ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মীর হোসাইন লিখেছেন তাহলে তো চেয়ারম্যান সাবেহকে আমাদের জনগনের পক্ষ থেকে আবার বিয়ের বেবচতা করা উচিত তাহলে চেয়ারম্যান সাহেবের অনৈতিক কাজ কিছুটা বন্ধ হতে পারে। আর নাহলে তো চেয়ারম্যানের জন্য আমাদের মত সাধারণ মানুষের সমাজে বো-বিটি নিয়ে বাস করাটা সমস্যা হয়ে যাবে আমরা তাহলে কি এই অত্যাচারী চেয়ারম্যানের থেকে মুক্তি পাবনা।
মৌতাসির মনির লিখেছেন খারাপ কাজ করার আগে তার ভাবা উচিত ছিল, সে একজন চেয়ারম্যান।
এরকম অসংখ্য মানুষ তাদের ফেইজবুক আইডিতে বিষয়টি নিয়ে লেখা লেখি করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে ঝড় বয়ে গেছে। রীতিমত এটি একটি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক মোল্যা বলেন, বৃহস্পতিবার আমার দলের দুইটি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব হচ্ছিলো। আমি দ্রুত সেখানে যাই। একটি পুরনো ঘটনা নিয়ে ৬নং ওয়ার্ডের ছেলেরা ৫নং ওয়ার্ডের একটি ছেলেকে মারধর করে। পরে বিষয়টি মীমাংসার জন্য ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার সহ অনেক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আসে বিষয়টি মীমাংসা করতে। মীমাংসায় না গিয়ে উত্তেজিত জনতা মেম্বারকে গালাগালি করে। বিষয়টি শুনে আমি এলাকায় যাই। এর আগেই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। ঘটনাস্থলে গেলে আমার হাতে লাগে এবং আমার হাত ভেঙে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনেকেই আমার ছবি তুলেছে। আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য তারা ছবিগুলোকে ফেইস বুকে দিয়ে ভাইরাল সৃষ্টি করেছে।