ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি,২২ জুন : বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের টাকুরাই গ্রামের ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিক। চলতি বছরের শুরুতে নিজের গ্রামে ৫৪ শতক জমিতে চাষ করেছেন মাল্টা। এর আগে এই এলাকায় মাল্টার চাষ আর কেউ করেনি, তাই ফলন নিয়ে একটু দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ছিলেন তিনি। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। বার বার ছুটেছেন কৃষি কর্মকর্তাদের কাছে পরামর্শের জন্যে। তারাও যথাসাধ্য তাকে সহায়তা দিয়েছেন, দিয়েছেন ভরসাও।
তবে সময় গড়ানোর সাথে সাথে তার সেই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কেটে যাচ্ছে। সবুজ গাছে গাছে ছেয়ে যাচ্ছে তার বাগান। এখন তিনি স্বপ্ন দেখছেন লাভের।
তবে কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখানকার মাটি আর আবহাওয়া দুটোই অনুকূলে রয়েছে। তাই মাল্টা চাষে ফলন ভাল হবে।
মালটা চাষী আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, বাগানে পাকিস্থানি জাতের ২৩৫টি মাল্টা গাছ লাগিয়েছেন। মাল্টার চারা রোপণের দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যেই ফল পাওয়া যায়। তবে শুরু খেকেই কৃষি অফিস সব ধরণের সহযোগীতা ও পরামর্শ দিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি অারো জানান, ওই জমিতে সহযোগী ফসল হিসেবে ২৫০টি থাই পিয়ারা, ২২ টি থাই লেবু, ২০টি আম গাছ, ৫টি কমলা, ১২০০টি লিচু গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মশিদুল হক বলেন, ‘এই উপজেলায় ‘মাল্টা’ নতুন ফল হিসেবে চাষ হচ্ছে। আগামীতে এই ফলের চাষ আরো সম্প্রসারিত হবে। আমরা তাকে সার্বিক সহযোগীতা করছি। আশা করছি আম-লিচুর পাশাপাশি এই উপজেলায় মাল্টার বাগানও দ্রুত বাড়বে।’