ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,সিলেট প্রতিনিধি,১৯ জুন : ভারতের শিলিগুড়ির শ্রুতি পাল নামের ১৩ বছরের সেই কিশোরীর অবশেষে ঠাঁই হচ্ছে সিলেটের বাগবাড়ির সেফ হোমে ( নিরাপদ নিবাসে)। তাহিরপুর থানা পুলিশ রবিবার সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে শ্রুতিকে হাজির করলে আদালত রবিবার তার (শ্রুতির) বক্তব্য শোনার পর তাকে নারী পুলিশী নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রবিবারই সেফ হোমে পাঠানার আদেশ প্রদান করেন।
আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভারতের শিলিগুড়ির প্রয়াত গণেশ পাল ও দূর্গা রাণী পাল দম্পতির কিশোরী কন্যা সীমান্ত অতিক্রম করে শুক্রবার উপজেলার বড়দল কাউকান্দি বাজারে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের আশেপাশে ঘোরাফেরা করলে বাজারবাসী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য’র বাড়িতে রাত্রী যাপনের ব্যবস্থা করে দেন। পরদিন শনিবার উপজেলা আ. লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল হোসেন খাঁনের নিকট নিয়ে গেলে ভাষাগত কারণে শ্রুতি নিজের সঠিক পরিচয় অকেনটাই চেপে যায়। খবর পেয়ে শনিবার রাতে থানা পুলিশ শ্রুতিকে তাদের হেফাজতে নেয়। শ্রুতিকে পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে সে তার কোন পরিবারের সদস্য বা নিকটাত্বীয় এমনকি তার আর কোন ভাই-বোন নেই বলেও জানায়। শ্রুতি কখনো জানান কাঁটাতারের বেড়ার নীচ দিয়ে আবার কখনো বাসযোগে শিলিগুড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী মেঘালয় পাহাড়ের ওপারের সীমান্ত অতিক্রম করে শুক্রবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে জানায়।
ধারণা করা হচ্ছে পারিবারীক রোষানল অথবা কোথায়ও কিশোরী হিসাবে কাজে থাকায় সেখানে কোন ধরণের অদৃশ্য চাপ কিংবা অন্যকোন কারণে ওই কিশোরী ভারতের শিলিগুড়ি থেকে দিন কয়েক পুর্বে মেঘালয় স্টেইটের শিলং হয়ে সুনামগঞ্জ সীমান্তের ওপারে ঘোমাঘাট অথবা বড়ছড়া এসে পৌঁছার পর সীমান্ত অতিক্রম করে শুক্রবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
তাহিরপুর থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর জানান, শ্রুতির ব্যাপারে রাতে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে রবিবার আদালতে হাজির করা হলে অতিরিক্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ শহিদুল আমিন ওই কিশোরীকে রবিবারই নারী পুলিশী নিরাপওার মধ্য দিয়ে সিলেটের বাগবাড়িস্থ সেফ হোমে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন।
সৌজন্যে : বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার