নান্দাইলে ইউএনওর মোবাইল নম্বর ক্লোন করে চাঁদা দাবি!

SHARE

imagesওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি,১৮ জুন : ময়মনসিংহের নান্দাইলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন করে চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে চারজন চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে ফোন করে চাঁদা চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

উপজেলার ৪ নম্বর চণ্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এমদাদুল হক ভুইয়া জানান, গতকাল দুপুর ১২টা ৩৭ মিনিটে তাঁর মুঠোফোনে ০১৮৩৬-৩৯৪৭০৪ নম্বর থেকে ফোন আসে। রিসিভ করলেই অন্য প্রান্ত থেকে বলা হয়, ‘আমি ইউএনও বলছি, আপনার ইউনিয়নের ১৫টি প্রতিষ্ঠানের জন্য ২০০ টন অতিরিক্ত জিআর বরাদ্দ দেওয়া যাবে। এর জন্য প্রতি টনে ১৫শ টাকা করে লাগবে। ’ এর কিছুক্ষণ পর ইউএনওর সরকারি নম্বর (০১৭৩৩-৩৭৩৩৪৬) থেকে ফের ফোন করে বলা হয়, ‘এবার তো বিশ্বাস হয়েছে। যদি আপনি রাজি থাকেন তাহলে প্রস্তুত থাকেন আবার ফোন দেওয়া হবে। ’ এদিন একইভাবে উপজেলার ২ নম্বর মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক, ৫ নম্বর গাঙাইল ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আশরাফুজ্জামান খোকন ও ১০ নম্বর শেরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব উদ্দিনের কাছে ফোন করা হয়। আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, তাঁকে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ইউএনওর সরকারি ফোন নম্বর থেকে কল করে বলা হয়, ‘আমি ইউএনও বলছি। আপনার নামে জিআর, টিআর ও কাবিখার অতিরিক্ত বরাদ্দ এসেছে। দ্রুত প্রস্তুত হোন। ’ এ কথা বলার পর ফোনটি কেটে গেলে কিছুক্ষণ পর ০১৮৩৬-৩৯৪৭০৪ নম্বর থেকে ফোন করে বলা হয়, আগের নম্বরের ব্যালান্স শেষ হয়ে যাওয়ায় এই নম্বর থেকে ফোন করা হয়েছে এবং এটাই বিকাশ নম্বর। জানা যায়, প্রায় এক ঘণ্টার ব্যবধানে পর পর চারজন চেয়ারম্যানকে ফোন করে বরাদ্দ দেওয়ার নামে চাঁদা দাবি করা হয়।

শেরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব উদ্দিন জানান, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে তিনি একটি কাজে ইউএনওর কক্ষে বসা ছিলেন। ওই সময় ০১৮৩৬-৩৯৪৭০৪ নম্বর থেকে ফোন আসে তাঁর মুঠোফোনে। তখনো বলা হয়, ‘আমি ইউএনও বলছি। ’ এ অবস্থায় তিনি তখন উত্তর দেন, ‘আমি তো ইউএনও সাহেবের সামনে বসা। ’ এ কথা বলতেই ফোনটি কেটে দেওয়া হয়। এর পর থেকে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এর পরই উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে প্রতারণার বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।

এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত অবশ্য কারো কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা নেওয়ার কথা শোনা যায়নি। বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসককে জানিয়ে নান্দাইল থানার ওসিকে অবহিত করেছেন। নান্দাইল থানার ওসি ইউনুস আলী জানান, ঘটনাটির বিষয়ে জিডি করে প্রতারকচক্রকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সৌজন্যে : দৈনিক কালের কন্ঠ।