জামায়াতের বিক্ষোভে সাড়া নেই রাজধানীতে

SHARE

241শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার ও নির্যাতন চালানোর প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রভাব পড়েনি রাজধানীতে। দলটির ডাকা গত সোমবারের হরতালের ন্যায় বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত মাঠে দেখা যায়নি জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের।

গত মঙ্গলবার দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এক বার্তায় দেশব্যাপী বিক্ষোভ এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।

মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে শফিকুর রহমান বলেন, ‘সরকার গণতান্ত্রিক পন্থায় রাজনৈতিকভাবে জামায়াতে ইসলামীকে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে। তাই মামলা দিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।

সোমবার যশোরের আসিফ ভিলা নামক একটি ছাত্রাবাসে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা ও এমএম কলেজের ছাত্র হাবিবুল্লাহ ও কামরুল ইসলামকে হত্যা ও আল-মামুনকে আহত করার ঘটনায় নিন্দা এবং প্রতিবাদও জানানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগ জড়িত বলে বিবৃতির মাধ্যমে দাবি করে জামায়াত।

রাজধানীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধে দলের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর রাজধানীসহ সারাদেশে হরতাল ও বিক্ষোভ কর্মসূচির নামে জামায়াতে ইসলামী যেন কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে না পারে সে জন্য সতর্কাবস্থায় দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।

রাজধানীর জামায়াত অধ্যুষিত মিরপুর, মগবাজার, পল্টন, শান্তিনগর এলাকাতেও দেখা যায় নি জামায়াত শিবির নেতাকর্মীদের। তবে সতর্কতা হিসেবে সর্বত্রই ছিল পুলিশের সশস্ত্র অবস্থান। বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্যদের মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর কোথাও মিছিল বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের খবর মেলেনি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-কমিশনার(ডিসি) মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, জামায়াতের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে ঘিরে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ সতর্কাবস্থানে ছিল। তবে কোথাও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের অবস্থান লক্ষ্য করা যায় নি।

এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ আপিল বিভাগের রায়ে বহাল থাকার প্রতিবাদেও গত বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছিল জামায়াত।

২দিন পর গত শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এর প্রতিবাদে রোববার দোয়া ও গত সোমবার হরতাল পালন করে সংগঠনটি।