ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,২১ মে : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের তানভীর রায়হান ও তার সহযোগী আল আমিন , কামরুলের বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে লাঞ্চনা ও সম্মানহানির অভিযোগ ওঠেছে। ওই নারী শিক্ষার্থী আজ রবিবার (২১মে) বিকালে জবি প্রক্টরকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দিয়েছেন। জবি প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ণ বিভাগে একটি ঘটনার রেশ ধরে এই নারী শিক্ষার্থীকে অকারণে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তানভীর আল আমিন কামরুল এবং তার বন্ধুরা মিলে ওই নারী শিক্ষার্থীর নামে অপপ্রচার চালিয়েছেন। সেই সাথে ওই নারী শিক্ষার্থীর বিভাগের অপর দুই বড় ভাইকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করেছেন তানভীররা। জানা যায়, গত সপ্তাহে জবি রসায়ন বিভাগের ১০ ব্যাচের এক ছাত্র ও প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ১২তম ব্যাচের এক ছাত্রীকে অপ্রীতিকর অবস্থায় আটক করে রসায়ন বিভাগের একজন শিক্ষক। এই ঘটনার রেশ ধরে তানভীর মনোবিজ্ঞান বিভাগের ৯ম ব্যাচের দুই ছাত্রকে এবং একজন নারী শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করে বিভাগে অপপ্রচার চালিয়েছে।এক পর্যায়ে তারা (তানভীর) তার বন্ধুদের সাথে নিয়ে ৯ম ব্যাচের মোস্তাক ও মন্টি নামে ওই দুই শিক্ষার্থীকে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করেছে। পরে ওই নারী শিক্ষার্থী তার নামে চালানো অপপ্রচার ও অপর দুই শিক্ষার্থীকে শারীরিক লাঞ্চনা করায় সম্মানহানী ও লাঞ্চনা দিয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ পত্র দিয়েছে। অভিযোগপত্রে ঘটনার স্বাক্ষি হিসেবে মন্টি ও মোস্তাক স্বাক্ষর করেছে বলে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এবিষয়ে জানতে চাইলে ওই নারী শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের বলেন, আমি যে কাজে সম্পৃক্ত ছিলাম না সে কাজে জড়িয়ে আমাকে এবং আমার বিভাগের অপর দুই বড় ভাইকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেছে। এতে বিভাগে আমার সম্মানহানি হয়েছে। আমি সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। আমি এই অপপ্রচারকারীদের কঠোর শাস্তি চাই। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এদিকে তানভীরের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সে নিজেকে অন্য নামে পরিচয় দেন। তবে কয়েকটি সূত্র তানভীরকে যে ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হয়েছে সে ফোন নম্বরটি তানভীরই নিশ্চিত করেছেন। বিষয়টি জানতে চাইলে জবি প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মদ বলেন, আমি অভিযোগটি পেয়েছি। ব্যস্ততার কারণে পড়তে না পারায়, অপর এক সহকারী প্রক্টর শাহিন মোল্লা’র কাছে দিয়েছি। তবে সহকারী প্রক্টর শাহীন মোল্লাকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন ধরেন নি।