ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,মোঃ ইসমাইল হোসেন,০১ মে : কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার নির্বাহী অফিসার আফরোজা পারভীন আগামী বৃহসপতিবার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড মোঃ কামাল উদ্দিনের নানা প্রকার অনিয়রেম বিষয় নিয়ে আগামী বৃহসপতিবার বসবেন। মেঘনা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ কামাল উদ্দিনের সেচ্ছাচারিতা এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জামায়াত ও শিবিরের কর্র্মীদের মুক্তিযোদ্ধা বানানো অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ ক মা মোজাম্মেল হক মেঘনার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই নামে জামায়াত শিবিরের লোকদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধ বানানোর অনিয়মের বিষয়ে তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসক কুমিল্লাকে দাযিত্ব দিয়েছেন। আগামী বৃহসপতিবার মুক্তিযোদ্ধের নিয়ে মেঘনার নির্বাহী অফিসার আফরোজা পারভীন অফিস কক্ষে বসবেন। তুলাতুলী গ্রামের মোঃ কামালউদ্দিন কমান্ডার নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধাদের কোন কথা শুনে মেঘনা উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল সালামের সহযোগিতায় মেঘনায় যা ইচ্ছে তা করে যাচ্ছে। সে মেঘনায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ে নানা অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে। মেঘনার উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল সালামের সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ে মেঘনায় জামায়াত শিবিরে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। আব্দুল সালামের সহযোগিতায় রুদ্ধদার বৈঠকে জামায়ত ও শিবিরে লোকজনদের নিয়ে তালিকা প্রস্তুত করে। মেঘনার এমপি মোঃ সুবেদ আলী ভূইয়া মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাইয়ের অনিয়মের জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীর কাছের একটি সুপারিশ পত্র পাঠালে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। মেঘনা উপজেলায় জামায়াত ও শিবির সরকারের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে তাদের লোক কৌশলে নিয়োগ দেয়। মেঘনার উপজেলার আব্দুল সালামের ব্যবহার করে মেঘনায় নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে। মেঘনায় প্রতিটি মসজিদে ইসলামী ফাউন্ডেশানের জামায়াত শিবিরের লোকজন নানা ছদবেশে প্রবেশ করেছে। মেঘনা উপজেলার চেয়ারম্যান মুখে মুখে বড় বলেছে কিন্তু কাজ করছে জামায়াত শিবিরেদের। তাহাকে মোটা অংকের টাকা দিলে সব করা সম্ভব বলে একটি সূত্র জানাচ্ছে। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করলে তার সত্যতা খুজে পাবে। মেঘনা সরকারের নানা দপ্তরের উন্নয়নের টাকা উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল সালাম লুট পাট করে নিয়ে যাচ্ছে। সরকারের প্রশাসনের লোকজন সরকারী টাকা রক্ষার চেষ্ঠা চালালে তার বিরুদ্ধাচারন করে উপজেলা চেয়ারম্যান। সরকারের একটি বাড়ী একটি খামারের প্রকল্পের ১ কোটি টাকা লুটপাট হয় আব্দুল সালামের সহযোহিতায়। পূর্বের উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন আক্তার সুমি সরকারী টাকা উদ্ধার করতে গিয়ে আব্দুল সালামের নানা কৌশলে পড়ে বদলী হতে হয়। আব্দুল সালাম সরকারী লোকদের ব্যবহার করার জন্য একটি সন্ত্রাস বাহিনী গঠন করে। সন্ত্রাস বাহিনীর ভয়ে সরকারী অফিসারগন মানসম্মানের ভয়ে টু শন্দটি করতে পারে না। আবদুল সালামা নিজেই পত্রিকার ডিকালেন্সান দেয়। একটি পত্রিকার নাম সার্ট ও গেঞ্জিতে লিখে যে কোন অনুষ্ঠানে প্রোগ্রামের ছবি উঠাতে থাকে। জেলা প্রশাসকের একটি দপ্তর আছে পত্রিকা ডিকালারেসান নেয়ার জন্য। সে দপ্তরের অনুমতি ছাড়া মেঘনার উপজেলা সালামের সেচ্ছাচারিতরার কাছে সরকারী প্রশাসনের কোন দাম নাই। সরকারের গেয়োন্দা বাহিনী নজর না দিলে মেঘনাতে যেকোন অঘটন ঘটে যেতে পারে। সালামের কাজ কর্মের কেউ প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলাসহ নানা প্রকার ঝামেলার থাকে। একটি সূত্র জানায়,তার গ্রামের আওয়ামী যুবলীগের কর্মী মোঃ মিলন সরকার তাহার কাজকর্মের প্রতিবাদ করায় তাকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলার শিকার হতে হয়। তাহার গ্রামের লোকজন বলছে, তাহার গ্রামের এক কর্মী প্রতিবাদ করায় তাহাকে নির্মমভাবে হত্যা করে উপজেলা চেয়ারম্যান একটি মিথ্যা নাটক সাজায়। এখন পর্যন্ত সে পরিবরের হত্যার বিচার পায়নি। জামায়াত পরিচালিত পত্রিকার প্রতিনিধি কৌশলে উপজেলা চেয়ারম্যানর আত্মীয় পরিচয়ে মেঘনায় বিচরন করছে। সরকারকে আগে থেকে মেঘনায় উপজেলা চেয়ারম্যানের কর্মকান্ড লক্ষ্য না রাখলে জামায়াত প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। মেঘনায় জামায়াত কৌশলে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ছদ্মবেশে ঢুকতে চাচ্ছে। মেঘনায় জামায়াত মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ কামাল উদ্দিনের উপর টার্গেট করছে। এই সুযোগ কাজে লাহাতে পারলে মেঘনা একটি অঘটন ঘটার সম্ভাবনা রহিয়াছে। বর্তমান মেঘনার কমান্ডার কামালউদ্দিন কুমিল্লার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাউন্সিলের সহকারী কমান্ডার ফারুক আহাম্মদকে ব্যবহার করছে। এদের গতিবিধি সরকারকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মেঘনার মুক্তিযোদ্ধা সহকারী কমান্ডার মোঃ সিরাজ সকল অপকর্মের সহযোগী। একটি সূত্র জানায় মুক্তিযোদ্ধা মো সিরাজ ডাক বিভাগে কর্মরত। সে সুযোগে জামায়াত শিশিবের গোপনীয় চিঠিপত্র আদান প্রদান করে থাকে। উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল সালামের শক্তি কাজে লাগনোর অভিযোগ আছে। মেঘনায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ কামালের বিচারের দাবিতে ২১ সদস্য একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আহছানউল্লাহ মাষ্টার চন্দনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কামালউদ্দিনের অপকর্মের বিচার দাবী করছেন। কামালউদ্দিনের বিচারের দাবীতে মেঘনায় বিক্ষোভ মিছিল হয়। এমপি মোঃ সুবেদ আলী ভূইয়ার নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।