সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধের প্রতিশ্রুতিতে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত সম্মেলন। এছাড়া সম্মেলনে উভয় সীমান্তে চোরাচালান ও অপহরণ বন্ধের উপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
জেলা প্রশাসক পর্যায়ে দ্বিতীয় যৌথ সীমান্ত সম্মেলনে দু’দেশের জেলা প্রশাসক পর্যায়ে যোগাযোগের উপরও গুরুত্বারোপ করা হয়। বুধবার দুপুর ১টায় বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. সামশুল আরেফিন এবং ভারতের মিজোরামের লাংলাই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশিষ মাধাওরাও মোর দু’দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন । বুধবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত সম্মেলন চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
ভারতের মিজোরাম সেক্টরের তিনটি জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং এর সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার প্রশাসক, পুলিশ ও বিজিবি’র স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।
সংবাদ সম্মেলনে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের দুই দেশের সীমান্তে এ মুহুর্তে বড় কোনো সমস্যা নেই। বড় কোনো সংকটের সম্মুখীন আমরা হচ্ছি না। যেসব সমস্যা আছে সেগুলো দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান। এসব সমস্যা আমরা কিভাবে সমাধান করতে পারি সেটা নিয়ে আলোচনায় বসেছিলাম। আমাদের আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে।
মিজোরামের লাংলাই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশিষ মাধাওরাও মোর বলেন, গত জানুয়ারিতে আমরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে প্রথম বৈঠক করেছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিভাগের বৈঠক হচ্ছে। দীর্ঘদিনের বিরাজমান কিছু সমস্যা ছাড়া আমাদের সীমান্তে আর কোনো বড় সংকট নেই। এরপরও এ ধরনের বৈঠক স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে যোগাযোগ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলবে বলে আশাবাদী তিনি।