মলদ্বারে ফিস্টুলা, কী করবেন?

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিজস্ব বিডি ডট কম,স্বাস্থ্য প্রতিনিধি,২৫ এপ্রিল : মলদ্বারে ফিস্টুলা বা ফোঁড়া একটি পরিচিত রোগ। মলদ্বারে ভেতরে এক বা একাধিক ফোঁড়ার মুখ দিয়ে মাঝে মধ্যে পুঁজ বের হয়ে আসাকে ফিস্টুলা বা ভগন্দর বলা হয়। এটা খুব সাধারণ সমস্যা হলেও বেশ যন্ত্রণাদায়ক।

মলদ্বারের বিশেষ ধরনের সংক্রমণের কারণে এ রোগটি দেখা দেয়।

মাঝে মাঝে এ রোগে জটিলতাও দেখা দেয়। বিশেষ করে এর নালীটি মলদ্বারের কোন স্তর ভেদ করেছে বা কতটা গভীরে প্রবেশ করেছে তার ওপর নির্ভর করে এর জটিলতা।

তবে ফিস্টুলার প্রকারভেদ রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ফিস্টুলার চিকিৎসার জন্য রয়েছে বিভিন্ন কৌশল ও পদ্ধতি।

সাধারণ ফিস্টুলা: এই ফিস্টুলাটি মলদ্বারের মাংশপেশীর খুব গভীরে প্রবেশ করে না।

জটিল ফিস্টুলা: এর বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে এবং এটি নির্ভর করে এর নালটি মলদ্বারের মাংসের কতটা গভীরে প্রবেশ করেছে। এর চিকিৎসা দুরূহ। এ নালী যদি একের অধিক হয় তাহলে সমস্যা বেড়ে যায়। ইনফেকশান হলে অপারেশনের প্রয়োজন পড়ে।

কারণ: মলদ্বারের ভেতরে অনেক নালীর মতো হয় এগুলোর সংক্রমণে ফোঁড়া হয়। এই ফোঁড়া এক সময় ফেটে গিয়ে মলদ্বারের চারিদিকে কোনো একস্থানে একটি ছিদ্র দিয়ে বের হয়ে আসে এবং পুঁজ নির্গত হতে থাকে। ফলে মলদ্বারে প্রচুর ব্যথা হয়। তবে পুঁজ বের হওয়ার পর ব্যথা কমতে থাকে। মলদ্বারে যক্ষ্মার কারণেও ফিস্টুলা হতে পারে।

লক্ষণ: মলদ্বার ফুলে যায়, ব্যথা হয় এবং নিঃসরণ বা পুঁজ ও আঠালো পদার্থ বের হয়ে থাকে।

পরীক্ষা: এ রোগ চিকিৎসার আগে প্রক্টোস্কপি, সিগময়ডসকপি, কোলনস্কপি, বেরিয়াম এক্সরে, ফিস্টুলোগ্রাম  (খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়), আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও মলদ্বারের ভেতরে আঙুল দিয়েও পরীক্ষা করা হয়।

চিকিৎসা: মলদ্বারের ভেতরে ফোঁড়া হওয়ার জন্য ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়। নিঃসরণ বা পুঁজ পড়া সাধারণত মাঝে মাঝে হয়। কখনও কখনও দু’এক মাস রোগটি সুপ্ত অবস্থায় থাকে। অনেক সময় সমস্যা একটানা না থাকার কারণে রোগীরা মনে করেন ভালো হয়ে গেছেন, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। পরে এ সমস্যা আবার দেখা দিতে পারে। জটিল হলে অপারেশনের প্রয়োজন পড়ে।

ডা. সেলিমা বেগম, মেডিকেল অফিসার (এম,সি,এইচ-এফ,পি)
মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, নারায়ণগঞ্জ