
আজ রবিবার ভোর থেকেই তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওরের ৩টি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করছে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় ঝুঁকির মধ্যে ছিল বাঁধটি। এটা টিকিয়ে রাখতে স্থানীয় কৃষকরা প্রায় ২০ দিন ধরে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে যাচ্ছিল। আজ ভোর রাত থেকেই হাওরের আহম্মকখালি, লালুরগোয়ালা ও সাহেবনগর পয়েন্টের বাঁধ ভেঙে ও উপচে পানি প্রবেশ করছে; তলিয়ে যাচ্ছে হাওরের আধা পাকা বোরো ধান।’
সুনামগঞ্জর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক জাহেদুল হক বলেন, শনির হাওরে এবার ৮ হাজার ৩০০ হেক্টর এলাকায় বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। অর্ধেকের চেয়ে কিছুটা কম বোরো ফলন পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি প্রবেশ অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে।
সুনামগঞ্জ জেলায় এ বছর ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল। প্রশাসন বলছে, ৮২ শতাংশ ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কৃষকেরা বলছেন ৯০ শতাংশ। এ অবস্থায় রক্ষা পেয়েছিল শনির হাওর। এটি ‘ধানের খনি’ বলে কৃষকমহলে পরিচিত। এবার ২২ হাজার একর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।
তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রামের মানুষের জমি আছে শনির হাওরে। প্রায় ২২ হাজার একর জমির মধ্যে তাহিরপুরের বাসিন্দা কৃষকের জমি আছে প্রায় ১৬ হাজার একর।
এ মাসের শুরুতেই পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাওরের বিস্তীর্ণ এলাকার বোরো ধান তলিয়ে যায়।