ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,২১ এপ্রিল : দাউদকান্দিতে মাদরাসার ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষক জেলহাজতে ॥ পরিবারের দাবিষড়যন্ত্র। উপজেলার গৌরীপুরের স্বল্পপেন্নাই জান্নাতুল ফেরদাউস মহিলা মাদরসার ১ম শ্রেণির ছাত্রী ছদ্ম নামতনু (৭) ওই মাদরসার শিক্ষক মো. এনামুলহক (৩৫) কর্তৃক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে প্রথমে আটক ও মামলার পরেকুমিল্লা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়,কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার পাথারকান্দি গ্রামের ফরজ আলীর ছেলে মো.এনামুলহক দীর্ঘ দিনধরে দাউদকান্দির বিভিন œমসজিদ ও মাদরসায় চাকুরি করেন। পরে তিনি গত দুই বছর পূর্বে গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্বল্পপেন্নাইয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস মহিলা মাদরসা নামে একটি প্রতিষ্ঠান করেন। ওই মাদরাসায় আবাসিক ও অনাবাসিক সব মিলিয়ে প্রায় দেড়’শ ছাত্রী রয়েছে।
স্থানীয় আবাসিক ছাত্রী তনুর বাবা অভিযোগ করেন যে, ‘গত ১৯ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে তার মেয়ে মাদরাসার কক্ষে ঘুমিয়েছিল। এ সময় ওই শিক্ষক মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এখবর পেয়ে আমরা পুলিশের সহযোগিতা মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়েযাই। এ বিষয়টি শিক্ষক এনামুলহক সকলের সামনে স্বীকার করে ক্ষমা চায়। কিন্তু আমি মনে করি, এসব অসভ্য লোকদের ছাড় দেওয়া মানে অসংখ্য মেয়েশিশুর ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেওয়া। এরপরই আমি শিশু ও নারীনির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করি। যার ফলে পুলিশ শিক্ষক এনামুলহককে আটক করে প্রথমে দাউদকান্দি মডেল থানায় এবং পরে কুমিল্লা জেলহাজতে প্রেরণ করেন’।
এনামুলহকের বাবা ফরজ আলী বলেন, ‘আমার ৫ ছেলে ও ৪ মেয়ে। তারা সবাই উচ্চ শিক্ষিত। এনামুল একজন মুফতী। তারদ্বারা এই কাজ কখনও সম্ভব নয়। আমার ছেলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।
এনামুলহকের স্ত্রী তাহমীনা আক্তার বলেন,‘ওই ছাত্রীটি বেশ কয়েকটি মাদরাসা পাল্টিয়ে এখানে এসে প্রায় ৬ মাস আগে ভর্তি হয়। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই সে এখান থেকে চলে যেতে চাইছিল। এমনকি মেয়েটি পালিয়েও যেতে চেয়েছে কয়েকবার। মঙ্গলবার রাতে মেয়েটি বাড়িতে যাওয়ার জন্য কান্না কাটি শুরু করে। এসময় আমার স্বামী মেয়েটিকে আমার রুমে ডেকে এনে মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করেছে মাত্র’। তিনি আরো বলেন, ‘আমার বিয়ে হয়েছে ৭ বছর,আমি আমার স্বামী সম্পর্কে জানি। সে একজন মুফতী, তার স্বভাব-চরিত্র খুব ভালো। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করার জন্যই এক শ্রেণির মানুষ এই নাটক সাজিয়েছে’। তিনি আরো অভিযোগ করেন,‘ওই রাতে ছাত্রীর পরিবারের লোকজন আমাদের মাদরাসায় এসে আমার স্বামীকে বেধরক মারধর করে এবং বাসার আসবাবপত্র ভাঙ্গচুর করে। পরে তারা আমার স্বামীকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আমরা এর ন্যায্য বিচারচাই’।
উপজেলার কানড়া দুর্গাপুর এলাকার একজন নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘এই হুজুর আমাদের মসজিদে ঈমামতি করতেন একসময়। ওইসময় সে আমার মেয়ের সঙ্গেও এমন আচরণ করেছে। আমি তখন লজ্জায় কাউকে বিষয়টি বলিনি’। তিনি এই হুজুরের বিচার দাবি করেন।
এই এলাকার ব্যবসায়ী মোঃ শাহ আলম, শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম, মাস্টার বেলাল হোসেন, মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ ইয়াকুবআলী, মোঃ আহসানউল্লাহ, মোঃ মাছুমবিল্লাহ, মোঃ ফয়সাল এবং মাদরাসার আবাসিক ছাত্রী সানজিদা আক্তার, ইসরাত জাহান ও সোহানা আক্তার প্রমুখ ব্যক্তিরা দাবি করেন যে, এটি একটি ষড়যন্ত্র। মুফতী এনামুলহক একজন সৎ এবং মেধাবী শিক্ষক। এই প্রতিষ্ঠানের সফলতা দেখে ঈর্ষাাণি¦ত হয়েই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে একদল লোক’। তারা মনে করেন,‘সুষ্ঠুতদš Íহলেই মূল ঘটনা বের হয়ে আসবে এবং এনামুলহক নির্দোষ হিসেবে খালাশ পাবেন।