পুলিশ সদস্যদের দেয়া হচ্ছে কমান্ডো প্রশিক্ষণ: আইজিপি

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,১১ ফেব্রুয়ারি : পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, বড় ধরনের জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলার জন্য পুলিশ সদস্যদের কমান্ডো প্রশিক্ষণ (ট্রেনিং) দেয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষনের ফলে পুলিশ কমান্ডোরা জঙ্গী ও সন্ত্রাসীদের যে কোন অপতৎপরতা রোধ করতে সক্ষম হবে। তাদের বিশেষ সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। আইজিপি শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়িতে এপিবিএন স্পেশালাইজড ট্রেনিং সেন্টারে পুলিশ কমান্ডো কোর্স (পিসিসি-১) এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো: সফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি (ট্রেনিং এন্ড স্পোর্টস) ডক্টর খন্দকার মহিদ উদ্দিন, খাগড়াছড়ি এপিবিএন বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারের অধিনায়ক আওরঙ্গজেব মাহবুব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হ্লাচিংপ্রু, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো: মজিদ আলীসহ উবর্ধতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।

সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গী ও সন্ত্রাস মোকাবিলায় পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, আইজিপি বলেন, পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি বিভাগে অন্তত ১টি করে কমান্ডো প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত টীম রাখা হবে। তিনি বলেন, যে কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ক্ষেত্রে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেছে। একে এম শহীদুল হক বলেন, সাম্প্রতিক গুলশানের হলি আর্টিজান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া হামলাসহ দেলের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে পুলিশ বাহিনীর সামর্থ বৃদ্ধির জন্যে অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামসহ সব ধরনের ‘লজিস্টিক সাপোর্ট’ দিয়ে পুলিশের কমান্ডো ফোর্সকে সুসজ্জিত করা হবে। যাতে তারা যে কোনো সংকটকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উন্নত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা কমান্ডো ট্রেনিংয়ে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত এফবিআইসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডিএমপি’র বিশেষায়িত কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, সোয়াতসহ সেনাবাহিনীতে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১৭ জন প্রশিক্ষক এ কমান্ডো প্রশিক্ষণ দেবেন। উল্লেখ্য, এটিই হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশে কমান্ডো ফোর্স তৈরির প্রথম কার্যক্রম। এর আগে কঠোর প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের মাধ্যমে সাধারণত সশস্ত্র বাহিনীতে কমান্ডো বা প্যারাকমান্ডো তৈরি করা হতো। প্রথম দফায় ৮ সপ্তাহব্যাপী এ প্রশিক্ষণে কনস্টেবল থেকে এএসপি পদমর্যাদার মোট ৪৪জন অংশ নিচ্ছেন।