১৬/০৮/২০১৬
বিতর্কিত ইসলামিক ধর্মগুরু জাকির নায়েকের প্রতিষ্ঠান ‘ইসলামিক ইন্টারন্যাশানাল স্কুল’ সম্পর্কে উঠে এল ‘চাঞ্চল্যকর তথ্য’।
সম্প্রতি মুম্বাইয়ের মাজাগাও এলাকার এই স্কুলটি সম্পর্কে মুম্বাই পুলিশের করা তদন্তে উঠে এসেছে এমন তথ্য যা শুনে চোখ কপালে ওঠার মতো।
মুম্বাই মিরর সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুসারে, পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে যে এই বিদ্যালয়ে রীতিমতো ছাত্রদের ‘মগজধোলাই’ করা হত এবং অভিভাবকদের কড়া ভাবে জানিয়ে দেয়া হত তাদের সন্তানকে ‘অ-মুসলিম পরিবেশ থেকে দুরে রাখতে’।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের গুলশানে ক্যাফেতে জঙ্গি হানার পরেই উঠে আসে জাকির নায়েক ‘কানেকশন’-এর তত্ত্ব। তারপরই মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে শুরু হয় তদন্ত।
মুম্বাই পুলিশের এই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে ওই বিদ্যালয়ের আর একটি শাখা রয়েছে চেন্নাই শহরেও রয়েছে।
পুলিশি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামিক ইন্টারন্যাশানাল স্কুলের লিটারেচারে লেখা আছে, “একটি শিশুর উপর সামাজিক প্রভাবকে বিশ্লেষণী দৃষ্টিতে দেখতে হবে। অ-মুসলিম আবহে একটি শিশু বেড়ে উঠলে তার মধ্যেকার ইসলামিক গুনগুলি নষ্ট হয়ে যায়। তাই মুসলিম নাগরিকদের উপদেশ দেয়া হচ্ছে যে তারা তাদের সন্তানসন্ততিদের ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করুক, নতুবা শিশুর মধ্যে সমাজের বাকি অংশের ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।”
এছাড়াও জানা যাচ্ছে, জাকির নায়েকের এই স্কুল ছাত্রদের ব্যক্তিগত জীবনের ওপরও ‘বিশেষ নজর’ রেখে থাকে। সব মিলিয়ে মুম্বাই পুলিশের এই রিপোর্টে যে জাকির নায়েক ও তার স্কুল বেকায়দায় পড়বে সেবিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা।