১৬/০৮/২০১৬
ভারতের আসাম থেকে বানের পানিতে ভেসে আসা বুনো হাতিটি থামানো গিয়েছিল বহু চেষ্টার পর, নাম দেওয়া হয়েছিল বঙ্গবাহাদুর; কিন্তু লোকালয় থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যেই মারা গেছে প্রাণীটি।
হাতিটি উদ্ধারকারী দলের প্রধান ঢাকার বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক জানান, মঙ্গলবার সকাল ৭টায় সরিষাবাড়ি উপজেলার কয়রা গ্রামের বাদাবিলে বঙ্গবাহাদুর মারা যায়।
এক মাসের বেশি সময় ধরে পিছু পিছু ঘোরার পর গত ১১ অগাস্ট ট্রাঙ্কুলাইজার দিয়ে অচেতন করে ডাঙ্গায় তোলা হয় হাতিটিকে। তারপর থেকে কয়ড়া এলাকায় রেখেই সেটি সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। পরিকল্পনা ছিল, কোনো সাফারি পার্কে ছেড়ে দেওয়া হবে তাকে।
কিন্তু রোববার সকালে হাতিটি পায়ের শেকল ছিঁড়ে ছুট দিলে ট্রাঙ্কুলাইজার দিয়ে অচেতন করা হয়। কয়েক ঘণ্টা পর হুঁশ ফিরলেও অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে। মঙ্গলবার সকালে মারা যায় হাতিটি।
বানের জলে ভেসে গত ২৬ জুন ভারতের আসাম হয়ে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম সীমান্তে আসে বুনো হাতিটি।
এরপর কুড়িগ্রামের রৌমারীতে হাতিটি ছিল ৯ জুলাই পর্যন্ত। ১০ থেকে ১৩ জুলাই গাইবান্ধায়, ১৪-১৬ জুলাই জামালপুরে, ১৭-১৮ জুলাই বগুড়ায়, ১৯-৩০ জুলাই সিরাজগঞ্জে এবং তারপর ৩১ জুলাই থেকে আবার জামালপুরে চষে বেড়ায় সে।
দেড় মাসের বেশি সময় ধরে নদী ও স্থলপথ মিলিয়ে চার জেলার কয়েকশ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে হাতিটি।
৩ অগাস্ট ভারতীয় একটি দল এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগালেও ব্যর্থ হয়ে ভারতে ফিরে যায় তারা।
খাবারের প্রলোভনে সাড়া না দেওয়ায় বুনো হাতিটিকে বশে আনতে পোষা একটি মাদী হাতিও আনা হয়েছিল। কিন্তু উল্টো পোষা হাতিটিকে তাড়িয়ে দেয় বঙ্গবাহাদুর।
বুধবার প্রথমে ‘প্লাস্টিক ডার্ট’ ছুড়লে তা হাতির গায়ে লেগে বেঁকে যায়। এরপর সরিষাবাড়ীর কয়রা গ্রামে ১১ অগাস্ট ‘মেটাল ডার্ট’ ছুড়ে হাতিটি অচেতন করা হয়।