ঢাকা: রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ব্যস্ত সড়কগুলোতে বিশালাকার গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিনিয়তই এসব গর্তে মোটরসাইকেল, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে।
বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টিতে এসব গর্তে পানি জমে হয়ে উঠেছে আরো ভয়ঙ্কর, যেন মৃত্যুকূপ।
চলার পথে ছোট গাড়ি ও পথচারীরা এসব গর্তে পড়ে ক্ষয়ক্ষতির শিকার ও হতাহত হলেও, এ নিয়ে কোনো বিকার নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
মঙ্গলবার (০৯ আগস্ট) রাত ৯টা। মহাখালী বাসস্ট্যান্ডের সামনের রাস্তায় একটি প্রাইভেটকারের পেছন পেছন যাচ্ছিলেন মোটরসাইকেল আরোহী কামাল হোসেন। হঠাৎ তিনি চলন্ত মোটরসাইকেল নিয়ে পড়লেন গর্তে, বেশ আহত হলেন।
শান্তিনগরের এই বাসিন্দা বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি তো আমার বেগেই প্রাইভেটকারের পেছনে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সামনে যে এতো বড় গর্ত তা তো জানা ছিল না। প্রাইভেটকার যেহেতু বড় গাড়ি, তাই ওটা ডিঙিয়ে চলে যেতে সমস্যা হয়নি। কিন্তু আমি পড়লাম গর্তের ভেতর। এতে মোটরসাইকেলের কয়েক জায়গায় ভেঙে গেছে। আমারও হাত-পায়ে বেশ ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।’
একই রকম অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা ইউসূফ হায়দার। তিনি বলেন, মহাখালী যাওয়ার পথে গর্তে পড়ে দুর্ঘটনায় মুখোমুখি হতে হলো। তবে অল্পের জন্য রক্ষা।
রাজধানীর উত্তরা, ধানমন্ডি, মগবাজার, পল্টন প্রভৃতি এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ করেই মাঝ বরাবর বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি নাজুক অবস্থা বনানী থেকে মহাখালী, সাতরাস্তা হয়ে মগবাজার সড়কে।
এদিকে, বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা কেটে মাটির নিচ দিয়ে নেওয়া পরিসেবার লাইনগুলোর জন্যও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
এক্ষেত্রে সড়কে কার্পেটিং না করায় ওই কাটা স্থানগুলো রীতিমত মরণনফাঁদে পরিণত হয়েছে। মহাখালী বাসস্ট্যান্ডের সামনের সড়ক এবং বনানী ওভারপাসের নিচের রাস্তা এ কারণে লম্বা আকারের নালার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে এসব রাস্তায় যাতায়াতকারী যান হরহামেশাই দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষকে।
ব্যস্ত এ নগরীতে যাতায়াতে দুর্ভোগ কমাতে ও বিড়ম্বনা দূর করতে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের তড়িৎ উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করেন ভুক্তভোগীরা।