ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),সাংবাদিক ইব্রাহীম মেঘনা থেকে, শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ || বৈশাখ ৫ ১৪৩২ :
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জাকির ও কাউছার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা লুটপাটের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, যদিও এখনো নিশ্চিত কোনো লুটপাটের খবর পাওয়া যায়নি।
Advertisement
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে রাজিব, রফিক, সুমন, পলাশ, খোস মিয়া, ডালিম, হালিম ও আনোয়ার হোসেনের নাম জানা গেছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রমজান মাসে হরিপুর গ্রামের কাউছার সরকার ও জাকির হোসেন গ্রুপের সদস্যদের হামলায় এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। অভিযোগ রয়েছে, হামলাকারীরা তাঁর হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। ওই ঘটনায় কাউছারের বাবা শাজাহান সরকার বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর গত বুধবার জাকির গ্রুপের লোকজন জামিনে মুক্তি পান। জামিনে মুক্তির দুই দিনের মাথায়, শুক্রবার দুপুরে জাকির গ্রুপ সংঘবদ্ধ হয়ে কাউছার গ্রুপের সদস্য আল-আমিনের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে এবং উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন।
Advertisement
হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা মাহফুজুল ইসলাম বলেন, “কাউছার সরকার ও জাকির হোসেন দুজনই বড়কান্দা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি পদপ্রার্থী বলে দাবি করে আসছেন। এ নিয়েই মূলত তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। এর জের ধরেই সংঘর্ষ হয়।”
মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. কাউছার বলেন, “সংঘর্ষের ঘটনায় ৫-৬ জন আহত ব্যক্তি চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।”
Advertisement
এ বিষয়ে মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, “পূর্ব বিরোধের জেরে জাকির ও কাউছার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে লুটপাটের আশঙ্কায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”